Menstrual Hygiene: ঝক্কি এড়াতে বহু মহিলাই স্যানিটরি প্যাডের অভ্যাস বদলে ট্যাম্পন বা মেন্সট্রুয়াল কাপকে বেছে নিয়েছেন। তবুও এমন মেয়েরাই রয়েছেন যাঁরা এই মেন্সট্রুয়াল কাপ সম্পর্কে অবগত নন কিংবা তাঁরা এটি ব্যবহার করতে দ্বিধা বোধ করেন। আবার অনেকেই স্যানিটরি প্যাডেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু গরমে স্যানিটরি প্যাড (Sanitary Pad) ব্যবহার করার সমস্যা হল র্যাশ (Rashes)। জ্বালাভাব, চুলকানি, ফুসকুড়ির মত একাধিক লক্ষণ দেখা দেয় উরু এবং যোনির চারপাশের অঞ্চলে। অতিরিক্ত গরমে গোপনাঙ্গে বেশি ঘাম জমছে। ঋতুস্রাবের সময় সেটা দ্বিগুণ হচ্ছে। এই ঘাম স্যানিটরি প্যাডের সংস্পর্শে এসে এবং বার বার ত্বকের সঙ্গে ঘষা লেগে তৈরি করছে র্যাশের সমস্যা। অস্বস্তি হলেও অনেকেই এই বিষয়ে নিয়ে মুখ খুলছেন না। কিন্তু এখনই যদি কোনও প্রতিকার গ্রহণ না করেন, তাহলে ভবিষ্যতে বাড়তে পারে আরও সমস্যা।
সারাদিনে কতবার আপনি স্যানিটরি ন্যাপকিন বদলান? চিকিৎসকদের মতে, ঋতুস্রাবের সময় তিন-চার ঘণ্টা অন্তর অন্তর স্যানিটরি ন্যাপকিন বদলে ফেলা দরকার। ট্যাম্পনের ক্ষেত্রেও তাই। স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে আপনাকে দু ঘণ্টা অন্তর অন্তর অন্তর স্যানিটরি ন্যাপকিন বদলে ফেলতে হবে। গ্রীষ্মকালে এই কাজে কোনও অবহেলা করবেন না। এতে শুধু ত্বকের নয়, যোনি সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের সংক্রমণকে সহজেই এড়ানো যাবে।
যোনি অঞ্চলের সংক্রমণ এড়াতে আপনি কী ধরনের স্যানিটরি প্যাড ব্যবহার করছেন, সেটাও খেয়াল রাখা দরকার। কিছু কিছু স্যানিটরি প্যাড রয়েছে যা সিলিকন দিয়ে তৈরি। সেগুলো ভাল হলেও গ্রীষ্মকালে তুলোর তৈরি স্যানিটরি প্যাড ব্যবহার করা দরকার। এতে ফুসকুড়ি বা জ্বালাভাবকে সহজেই এড়ানো যায়। একই সঙ্গে সুগন্ধি যুক্ত স্যানিটরি প্যাড ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এতে যোনির সংক্রমণ বেশি হয়।
পিরিয়ডের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ঋতুস্রাব চলাকালীন ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে যোনি এলাকা পরিষ্কার করুন। এতে ইস্ট সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে যাবে। জল দিয়ে পরিষ্কারের পর টিস্যু ব্যবহার করে শুকনো করে মুছে নিন। এতে গরমকালে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা এড়াতে পারবেন।
এর পাশাপাশি ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। গরমে ঘাম বেশি হয়। এর মধ্যে যদি আপনি আঁটোসাটো পোশাক পরেন তাহলে স্যাঁতস্যাঁত ভাব বেড়ে যাবে এবং র্যাশের সমস্যা উঁকি দেবে। সুতির অন্তর্বাস পরুন। প্যাড পরিবর্তনের সময় অন্তর্বাস পরিবর্তন করতে পারলে আরও ভাল হয়।
এরপরও যদি র্যাশ বের হয়, ফুসকুড়ি হয় কিংবা চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে কী করবেন? এই ক্ষেত্রে আপনি ভরসা রাখতে পারেন নারকেল তেলের ওপর। যে যে অংশে র্যাশ বেরিয়েছে কিংবা যদি ঘষা লেগে উরু অঞ্চল কেটে যায়, তাহলে সেখানে নারকেল তেল লাগিয়ে রাখুন। দু’ দিনের মধ্যে আপনি জ্বালাভাব থেকে রেহাই পাবেন। তবে ভেষজ নারকেল তেল ব্যবহার করবেন।
আরও পড়ুন: প্রখর রোদে বেরোলেই শুরু হচ্ছে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা, কী করে যত্ন নেবেন নিজের?