AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Irregular Periods: অনিয়মিত মাসিকের কারণেই কি মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের সম্ভাবনা? বিস্তারিত জেনে নিন…

আপনার পিরিয়ড ঠিকঠাক না হলে আপনার বিপাক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর বিপাক ক্ষতিগ্রস্ত হলে, কার্ডিওভাস্কুলার রোগের সম্ভাবনা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।

Irregular Periods: অনিয়মিত মাসিকের কারণেই কি মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের সম্ভাবনা? বিস্তারিত জেনে নিন...
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2021 | 2:53 PM
Share

নিয়মিত পিরিয়ড হওয়া সুস্বাস্থ্যের একটা লক্ষণ। নিয়মিত পিরিয়ড হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে, প্রজনন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ভাল অবস্থা বজায় রাখে। যখন পিরিয়ড অনিয়মিত হয়, তখন সামগ্রিক স্বাস্থ্য কোনও না কোনও ভাবে বিঘ্নিত হবেই। এই ক্ষেত্রে, একটি ডাক্তারি চেক আপ অপরিহার্য। অনিয়মিত পিরিয়ড পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) নামেও পরিচিত। এটি বিশ্ব জুড়ে যুবতী এবং মহিলাদের মধ্যে খুব সাধারণ একটা সমস্যা।

ব্যাঙ্গালোরের রিচমন্ড রোডের ফোর্টিস লা ফেমি হাসপাতালের পরিচালক এবং ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডঃ রাজপাল সিং PCOS সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন। ডঃ রাজপাল বলেছেন যে পিসিওএস হল বিপাকীয় সিন্ড্রোমের একটি অংশ যা ইনসুলিন প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি পুরুষ এন্ড্রোজেন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

Irregular Period

ডঃ রাজপাল বলেন, “এর ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড, ওজন বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক লিপিড প্রোফাইল এবং ডায়াবেটিস হয়। এছাড়াও বিষণ্নতা এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণ হিসেবেও এটা দায়ী হয়। ভারতে সন্তান ধারণকারী বয়সের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মহিলা PCOS বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজে (PCOD) ভোগেন। এটি মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের একটি সাধারণ কারণ।

বিপাকীয় অস্বাভাবিকতার কারণে কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। তবে, পিসিওএস-এর এরকম নানান উপসর্গ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পিসিওএসে ওজন কমানোর রুটিন, যত্ন সহকারে বানানো ডায়েট, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ত্যাগ করা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সরিয়ে তোলা সম্ভব। এর পাশাপাশি নিয়মিতভাবে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  ডঃ রাজপাল বলেছেন যে মেটফর্মিন, এসিই/এআরবি ইনহিবিটারস, অ্যাসপিরিন এবং স্ট্যাটিনের মতো ওষুধের ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো ব্যবহারের ফলে দেখা গেছে যে রোগীদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বেশ কিছুটা কমেছে।

ডঃ রাজপাল বলেছেন, কার্ডিয়াক বা স্নায়বিক উপসর্গ দেখা দিলে একজন অভিজ্ঞ ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। নিয়মিত পিরিয়ড না হওয়াকে ঢিলে দেওয়া একদমই ঠিক হবে না। এছাড়াও, পিরিয়ডের সময় মাত্রাতিরিক্ত যন্ত্রণা হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। আপনার পিরিয়ড ঠিকঠাক না হলে আপনার বিপাক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর বিপাক ক্ষতিগ্রস্ত হলে, কার্ডিওভাস্কুলার রোগের সম্ভাবনা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। তাই, কোনওরকম অবহেলা না করে, ডাক্তারের পরামর্শ নিন আর তাঁর কথা মতো নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পথগুলো বেছে নিন।

আরও পড়ুন: Blood Cancer Myths: ব্লাড ক্যানসার সম্বন্ধে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণার বদলে সত্যিগুলো জেনে নিন…

আরও পড়ুন: Sattu Sharbat: ব্রেকফাস্ট করার সময় নেই? কাজের ফাঁকে পান করুন এক গ্লাস ছাতুর সরবত!

আরও পড়ুন: White Wine: এক গ্লাস হোয়াইট ওয়াইন আপনাকে রোগ মুক্ত রাখতে পারে! কীভাবে জানেন?