Parijaat: ঠান্ডায় সর্দি-কাশি থেকে আর্থ্রাইটিস, সব রোগের একমাত্র মোক্ষম দাওয়াই এই ফুল!

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Oct 31, 2021 | 8:55 AM

আপনার শরীরের জন্য উপযুক্ত কিনা তা জানতে এটি শুরু করার আগে সবসময় একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

Parijaat: ঠান্ডায় সর্দি-কাশি থেকে আর্থ্রাইটিস, সব রোগের একমাত্র মোক্ষম দাওয়াই এই ফুল!
বাঙালির কাছে শিউলি ফুলের কদর অনেক বেশি

Follow Us

শরতের শুরু থেকেই সবুজ মাঠের উপর সাদা শিউলির সুমিষ্ট গন্ধ পাওয়া যায়। বাঙালির কাছে অত্যন্ত আপন এই ফুল। ছোট গাছের মধ্যে শিউলি ফুটে থাকার দৃশ্যে এখন অনেক কম দেখা যায়। শিউলি ফুল ফোটা মানেই দুর্গা পুজো । শিউলি ফুল মানেই বাঙালির কাছে উত্‍সবের গন্ধ। তাই এই ফুলে নিয়ে যতটা নস্টালজিক বাঙালি, ঠিক ততটাই এই ফুলের কদর রয়েছে ভালই। তবে অনেকেই জানেন না যে এই শিউলি ফুল কিন্তু আসলে একটি মহাষৌধির কাজ করে। পারিজাত বা হরসিঙ্গার নামেও পরিচিত এই সুন্দর সুগন্ধি সাদা ফুলের শুধু সৌন্দর্যই নয়, রয়েছে হাজারো গুণ। ঔষধি গুণে ভরপুর এই ফুলের পাতা, ছাল, ফুলের মাধ্যমে সায়াটিকা, আর্থ্রাইটিস থেকে শুরু করে অন্ত্রের কৃমি পর্যন্ত অনেক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।

শিউলি ফুলের ঔষধি নাম Nyctanthes arbor-tristis। এই ফুলে সাধারণত রাতে ফোটে, সকালে সব ফুলে ঝরে যায় ও নিস্তেজ হয়ে যায়। তাই এই ফুলকে রাতের রানীও বলা হয়।

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিক্সা ভাবসার বলেন, “হরসিঙ্গার হল বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারী উদ্ভিদ। হরসিঙ্গার গাছের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য এটিকে মানুষের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য আশীর্বাদ করে তোলে।”

গাছের পাতাগুলি দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, বাত, আর্থ্রাইটিস, জয়েন্টে ব্যথা, অস্থির সায়াটিকা ইত্যাদির মতো অনেক স্বাস্থ্য অবস্থার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। ডাঃ ভাবসার গাছের পৌরাণিক তাৎপর্য নিয়েও কথা বলেছেন। “এটি হিন্দু পুরাণে উল্লিখিত একটি পবিত্র গাছ। পৌরাণিক কাহিনিতে উল্লেখ রয়েছে, যে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তাঁর স্ত্রী সত্যভামার জন্য স্বর্গ থেকে এই গাছটি নিয়ে এসেছিলেন। এটি স্বর্গে বিদ্যমান পাঁচটি গাছের একটি, বলেছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ।

বিভিন্ন স্বাস্থ্য অবস্থার জন্য পারিজাত বা হরসিঙ্গার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ব্যবহারবিধি:

সায়াটিকার জন্য: ৩-৪টি পাতা পিষে নিয়ে জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন এবং খালি পেটে দিনে দুবার পান করুন।

ফোলা ও ব্যথার জন্য: জলেতে পাতা সিদ্ধ করে ক্বাথ তৈরি করে পান করুন।

বাতের জন্য: পাতা, ছাল, ফুল (পারিজাতের) প্রায় ৫ গ্রাম নিন এবং ২০০ মিলি জল দিয়ে একটি ক্বাথ তৈরি করুন। জল প্রাথমিক পরিমাণের এক চতুর্থাংশ পরিমাণে কমে গেলে ক্বাথ তৈরি হয়ে যায়।

শুষ্ক কাশির জন্য: পাতা পিষে রস বের করে মধুর সাথে খেতে পারেন।

সর্দি/কাশি/সাইনাসের জন্য: এটি চা হিসাবে পান করুন। এক গ্লাস জলেতে ২-৩টি পাতা এবং ৪-৫টি ফুল ফুটিয়ে তাতে ২-৩টি তুলসী পাতা মিশিয়ে চা হিসেবে পান করুন।

অন্ত্রের কৃমির জন্য: পাতা পিষে ২ টেবিল চামচ রস বের করে মিশিয়ে ও জলের সাথে পান করুন।

জ্বরের জন্য: তুলসীর ৩ গ্রাম ছাল ও ২ গ্রাম পাতার সঙ্গে ২-৩ টি পাতা মিশিয়ে জলের মধ্যে ফুটিয়ে দিনে দুবার পান করুন।

উদ্বেগের জন্য: শিউলি ফুলের তেল স্ট্রেস এবং উদ্বেগ দূর করতে অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহার করা হয়। এটি আপনার মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায় এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে যাতে আপনি সুস্থ বোধ করেন।

এটি আপনার শরীরের জন্য উপযুক্ত কিনা তা জানতে এটি শুরু করার আগে সবসময় একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন:

Next Article