আয়ুর্বেদশাস্ত্রে জোয়ানের উপকারিতা ও নানা গুণের কথা উল্লেখ রয়েছে। একাধিক চিকিত্সায় জোয়ান (Ajwain) খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। আগেকার দিনে চিকিত্সার মাধ্যমগুলি এত আধুনিক ছিল না, তাই অল্প থেকে কঠিন রোগ সারাতে জোয়ান খাওয়ার পরামর্শ দিতেন চিকিত্সকরা। ত্বক-চুলের যত্ন নিতে, কিডনিতে স্টোন হওয়া রোধ করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, মাথা যন্ত্রণা, পেটে ব্যাথার প্রকোপ কমায়, দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেও জোয়ানের উপকারিতা অনস্বীকার্য। আধুনিক গবেষণাতেও একথা প্রমাণিত। নিয়মিত জোয়ান খেলে নানা উপকার মেলে ঠিকই, কিন্তু তাই বলে বেশি মাত্রায় খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। মুঠো মুঠো জোয়ান খেলে শরীরের দেখা দেয় একাধিক সমস্যা (side effects)।
– অতিরিক্ত মাত্রায় জোয়ান (Ajwain) খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। পেট খারাপ, মাথা ঘোরা, বার বার বমি হওয়া এবং বদহজমের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
– মুঠো মুঠো জোয়ান খাওয়া শুরু করলে মুখের ভিতর ঘা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তা থেকে মাউথ আলসারের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার সম্ভাবনা শুরু হয়। যাঁদের মাউথ আলসার বা আলসার রোগে আক্রান্ত, তাঁরা ভুলেও জোয়ান খাবেন না।
– যাঁরা লিভারের রোগে ভুগছেন, তাঁদেরও জোয়ান খাওয়া উচিত নয়। যার জেরে লিভারের আরও ক্ষতি হতে পারে।
– কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগও শরীরে বাসা বাধতে পারে।
তবে জোয়ানের উপকারিতা এত বেশি যে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম থাকে। তবে কোনও জিনিসের অতিরিক্ত একেবারেই ভাল না। তাই জোয়ান মুঠো মুঠো নিয়মিত খেলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতেই পারে।