ওজন কমাতে গেলে না ঘাম ছড়িয়ে কোনও উপায় নেই। জিমে হোক বা বাড়িতে, একটু হলেও শরীরচর্চা করতে হবে। কিন্তু বয়স বাড়লে শরীরচর্চা করতে অনেকেরই সমস্যা হয়। তার উপর যদি দীর্ঘদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকে। এছাড়া বয়সের সঙ্গে রোগ-ভোগও বেড়েছে। সেখানে ব্যায়াম করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘাম ছড়ানোর উপায় একমাত্র হাঁটা। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটলেই শরীরের মেদ গলে যাবে। কিন্তু সঠিক উপায়ে হাঁটা ভীষণ দরকার। নাহলেই বিপদ।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েশনের মতে, হার্টের জন্য সেরা ওয়ার্কআউট হল হাঁটা। এটি কোলেস্টেরলের ও রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি বাড়িয়ে তোলে এনার্জি লেভেল। আর অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তার সঙ্গে মানসিক চাপকেও দূরে সরিয়ে রাখে। দিনে কমপক্ষে ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটলেই সুস্থ থাকতে পারবেন সারা জীবন। কিন্তু হাঁটার জন্য আপনাকে মানতে হবে কিছু নিয়ম। ভুল উপায়ে নিজের মতো করে দিনের পর দিন হাঁটলেন, অথচ কোনও উপকারই পেলেন না, মন ভাঙবে আপনারও। সঙ্গে বাড়তে পারে কোমর, পা, পিঠের সমস্যাও। তাই হাঁটার সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
১) হাঁটার সময় খুব বেশি চাপ দেবেন না পায়ের উপর। এর জেরে হাড় ও পেশীগুলি নিজেদের কাজগুলি করার পর্যাপ্ত সময় পায় না। ধীরে-সুস্থে হাঁটুন।
২) হাঁটার ভঙ্গি ঠিক রাখুন। পিঠ সোজা করে, কাঁধ শিথিল করে জোরে হাঁটুন। রিল্যাক্স মুডে হাঁটুন।
৩) হাঁটার জন্য উপযুক্ত জুতো বেছে নিন। জুতো ঠিক না থাকলে পায়ের পাতার উপর চাপ সৃষ্টি হবে। পায়ের সমস্যা এড়াতে এবং হাঁটতে গিয়ে কোনও সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য আরামদায়ক জুতো কিনে নিন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওয়াকিং ও রানিং শু পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
৪) এই গরমে হাঁটতে গিয়ে ঘাম হবেই। কিন্তু শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার দায়িত্ব আপনারই। অন্যথায়, শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা কমে যেতে পারে এবং ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। তাই হাঁটতে বেরোনোর সময় সঙ্গে জলের বোতল নিয়ে বেরোন। রাস্তায় বেরিয়ে ডাবের জলও খেতে পারেন।
৫) মানসিক চাপকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটবেন না। চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রেখে হাঁটতে বেরোন।