লোভ সম্বরণ করতে পারলে ওজন কমানো সহজ হয়ে যায়। চোখের সামনে প্রিয় খাবার থাকলেও, তাতে কামড় দেওয়া যাবে না। ডায়েটের সঙ্গে শরীরচর্চাও সমান জরুরি। তবে, দিনের পর দিন ডায়েট ও ওয়ার্কআউট করলে চলবে না। মাঝেমধ্যে ওজন মাপাও দরকার। তবেই আপনি ওজন কমানোর জন্য অনুপ্রেরণা পাবেন। কিন্তু দিনের যখন তখন ওজন মাপলেই চলে না। কত দিন অন্তর ওজন মাপলে তবেই সঠিক ফল মেলে, জানেন?
১) যদি আপনি ওজন কমানোর জার্নিতে থাকেন, তাহলে সপ্তাহে অন্তত একবার ওজন যাচাই করে নিন। এক সপ্তাহে দেহের ওজন কমা সম্ভব নয়। কিন্তু ওজনের যদি একটু হেরফের হয়, সেটা আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়।
২) প্রতিদিন ওজন মাপলে দেহের প্রকৃত ওজন সম্পর্কে সঠিক ধারণা মেলে না। অনেক সময় বেশি পরিমাণে জল খেয়ে ফেললেও দেহের মোট ওজনের উপর প্রভাব পড়ে। এমনকি রাতে কী খাচ্ছেন, তার উপরও দেহের ওজন নির্ভর করে। যদি রাতে কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে ফেলেন পরের দিন ওজন বেড়ে যেতে পারে।
৪) অনেকে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার পরই ওজন মাপেন। এতে কিন্তু সঠিক উত্তর মেলে না। শরীর থেকে ঘাম বেরিয়ে গেলে, ক্যালোরি পুড়ে গেলে ওজনও সাময়িকভাবে কমে যাবে। এই একই ঘটনা ঘটে মল-মূত্র ত্যাগ করার পরেও।
৫) দেহে যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, তখনও ওজনে পরিবর্তন হয়। তাই পিরিয়ডের সময় বা পিরিয়ডের আগে ও পরে ওজন মাপবেন না। এই সময় দেহে ফ্লুইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই সময় ওজন মাপলে এক থেকে দু’কেজি বেড়ে যেতে পারে।