AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Patanjali Ayurveda: অ্যালোপাথি যা পারেনি তা কী ভাবে সম্ভব করল পতঞ্জলি?

Patanjali Ayurveda: পতঞ্জলির ওষুধের মাধ্যমে সোরিয়াসিসের প্রাকৃতিক সমাধান পাওয়ার দাবি মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। কী ভাবে এই রোগের প্রতিকার খুঁজে পেল পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ।

Patanjali Ayurveda: অ্যালোপাথি যা পারেনি তা কী ভাবে সম্ভব করল পতঞ্জলি?
| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2025 | 4:57 PM
Share

সোরিয়াসিস ত্বক সম্পর্কিত দূরারোগ্য রোগ। এটি কেবল শরীরের ক্ষতিই করে না, মানসিক চাপও তৈরি করে। এই রোগের কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি, ফোলাভাব, চুলকানি মতো সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন অ্যালোপ্যাথিতে এই রোগের সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হয় না। কিন্তু আয়ুর্বেদ, বিশেষ করে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ, একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে সোরিয়াসিসকে সমূলে উৎখাত করা সম্ভব। কেবল ওষুধ দিয়েই এই রোগ নিরাময় করা সম্ভব।

পতঞ্জলির ওষুধের মাধ্যমে সোরিয়াসিসের প্রাকৃতিক সমাধান পাওয়ার দাবি মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। কী ভাবে এই রোগের প্রতিকার খুঁজে পেল পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ।

অ্যালোপ্যাথিতে কেন কোন চিকিৎসা নেই?

অ্যালোপ্যাথিতে, সোরিয়াসিসকে একটি অটোইমিউন রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমাদের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ত্বকের কোষগুলিকে আক্রমণ করতে শুরু করে। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় মূলত,শুধুমাত্র এই রোগের লক্ষণগুলিকে দমন করা হয়। যেমন ধরুন চুলকানি বন্ধ করার জন্য ক্রিম বা ফোলা কমানোর জন্য স্টেরয়েড। কিন্তু ওষুধ বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা আবার ফিরে আসে।

অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার কিছু ওষুধ লিভার এবং কিডনির উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। একই সঙ্গে, স্টেরয়েডের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার ত্বককে পাতলা করে তোলে এবং শরীরের প্রাকৃতিক রোগ নিরাময় ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।

পতঞ্জলি আয়ুর্বেদে কী ভাবে সমস্যার সমাধান করে?

পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ অনুসারে সোরিয়াসিসের প্রধান কারণ হল শরীরে উপস্থিত বিষাক্ত পদার্থ এবং দুর্বল পাচনতন্ত্র। আয়ুর্বেদে এটিকে কুষ্ঠরোগের শ্রেণীতে ফেলা হয়েছে। পতঞ্জলি বিশেষজ্ঞরা আয়ুর্বেদ অনুসারে একটি বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি করেছেন। যার মাধ্যমে শরীরকে ভেতর থেকে শুদ্ধ করা সম্ভব।

পতঞ্জলি আয়ুর্বেদে, প্রথমে শরীর পরিষ্কার করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর জন্য, ত্রিফলা গুঁড়ো, গিলয়, হারাদ, বাহেড়ার মতো ভেষজ ব্যবহার করা হয় যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করে।

সোরিয়াসিসের ওষুধে, নিম, হলুদ, মঞ্জিষ্ঠ, খাদির, অ্যালোভেরা এবং খাঁটি গরুর ঘি মিশিয়ে তৈরি তেল এবং পেস্ট ব্যবহার করা হয়। এগুলো ত্বককে ঠান্ডা করে এবং অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমায়।

পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ কেন্দ্রগুলিতে পঞ্চকর্মের মাধ্যমে শরীরকে শুদ্ধ করা হয়। এই পদ্ধতিটি কেবল শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থই অপসারণ করে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্যও বজায় রাখে।

পতঞ্জলিতে, রোগীকে একটি বিশেষ খাদ্য দেওয়া হয়, যেখানে মরিচ মশলা, তৈলাক্ত জিনিস এবং জাঙ্ক ফুড সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়। এছাড়াও, মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম এবং ধ্যানের পরামর্শ দেওয়া হয়।