জম্মু-কাশ্মীর: নতুন বছরেও গুলির শব্দ শোনা গেল উপত্যকায়। শনিবার রাতে জম্মু-কাশ্মীর(Jammu Kashmir)-র কুপওয়ারা (Kupwara) নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় জঙ্গিদের (Terrorists)। শেষ খবর পাওয়া অবধি, এনকাউন্টারে (Encounter) এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। তবে ওই জঙ্গি কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও জানা যায়নি।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারার জুমাগন্দ এলাকায় শনিবার এনকাউন্টার শুরু হয়। সেনা বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। মৃত জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পরিচয় পত্র। সেই পরিচয় পত্রে তাঁর নাম মহম্মদ সাবির মালিক হিসাবে উল্লেখ রয়েছে। তবে সেই পরিচয়পত্র আসল কিনা, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের একটি দল জুমাগুন্দ এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিল। সেনাবাহিনীর কাছে থেকেই গোপন সূত্রে জঙ্গি অনুপ্রবেশের খবর থাকায়, তারা ওই অঞ্চলে গিয়ে উপস্থিত হয়। এরপরই পুলিশ ও সেনার সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় জঙ্গিদের।
সংঘর্ষস্থল থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল, তিনটি ভর্তি ম্য়াগাজিন, দুটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। আলাদাভাবে প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় আরও পাঁচটি গ্রেনেড, একটি পাউচ, কাঁধের ব্যাগ, মানিব্যাগ ও একটি নকল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বরও উপত্যকার একাধিক জায়গায় এনকাউন্টার অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার বিকেলেও জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও কুলগামে এনকাউন্টার অভিযান চালায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। ওই এনকাউন্টারে দুই পাকিস্তানি নাগরিক সহ মোট ৬ জঙ্গির মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে চারজনের পরিচয় এখনও অবধি জানা গিয়েছে। বাকি দুইজনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিদের সকলেই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য। তারা জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পদে ছিল।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগরে একটি এনকাউন্টার (Encounter) অভিযানে খতম করা হয়েছে তিন জঙ্গিকে। গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন তিনজন পুলিশকর্মী ও একজন সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানও। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি বাসে হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। ওই ঘটনায় তিন পুলিশকর্মীর মৃত্যু ও ১১ জন আহত হয়েছিলেন। সেই সময় তাদের ধরা সম্ভব না হলেও, বৃহস্পতিবারের এনকাউন্টারে ওই হামলার অন্যতম এক চক্রীকে নিকেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গতকালের এনকাউন্টারে যে তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। বাকি দুইজনের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, ২০২১ সালে উপত্যকায় মোট ১৭১ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ জন পাকিস্তানি।