নয়া দিল্লি: কখনও বাড়ছে, কখনও বা কমছে দেশের করোনা গ্রাফ। কখনও বেশি উর্ধমুখী হয়েছ, কখনও আবার গ্রাফ হয়েছে নিম্নগামী। গতকাল প্রায় ১১ দিন পর সংক্রমণ ছাড়িয়েছিল ১৩ হাজারে। এরপর আজ তা কমে দাঁড়ায় ১২ হাজারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে (India) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৫১৬ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১৩ হাজার ৯১ জন। এদিকে, করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সামান্য বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ হাজার ১৫৫ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৩৮ লাখ ১৪ হাজার ৮০ জন।
চলতি সপ্তাহে দেশে উত্তোরোত্তর বেড়ে গিয়েছিল মৃত্যুর সংখ্যা। যথেষ্ঠ আতঙ্ক বাড়িয়েছিল গোটা দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের ৫০১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে এই মুহুর্তে দেশে একদিনে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৪০ জন। যা কিছুদিন আগে পর্যন্ত উর্ধ্বমুখী ছিল। গত ২৪ গণ্টা মিলিয়ে দেশে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪১৬।
এখনও সক্রমণের নিরিখে কেরলে(Kerala) সংক্রমণ সর্বোচ্চ। সেই রাজ্যে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭ হাজার ২২৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪১৯ জনের। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ৯৯৭ জনের শরীরে হদিশ মিলেছে ভাইরাসের। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। মহারাষ্ট্রের পরে রয়েছে কর্নাটক। সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৬ । গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আর তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮২০ জন।
তবে উত্তর প্রদেশের মতো বড় রাজ্য নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা বুলেটিন অনুযায়ী সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৭ জন। রাজধানী দিল্লিতেও আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন। আবার মিজ়োরামের মতো ছোটো রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩১ ছুঁইছুই। তবে কারও মৃত্যু হয়নি।
এদিকে এই রাজ্যে আবারও বাড়ছে একদিনের সংক্রমণ (Covid-19)। পরীক্ষা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনা সংক্রমিতের দৈনিক সংখ্যা তো বাড়ছেই। তবে মাঝে মধ্যে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা কম হলেও সংক্রমণের গ্রাফ কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৪০ হাজার ৩৩০।
এদিকে বুধবার একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৮৫৩। অথচ সেদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ৪২ হাজার ১১৩টি। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, নমুনা কম পরীক্ষা হলেও একদিনের পরিসংখ্যানকে টেক্কা দিচ্ছে পরের দিন।