AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CBI on Manik Bhattacharya: মানিকই ‘নাটের গুরু’, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ CBI-র

CBI on Manik Bhattacharya: টেট পরীক্ষায় পাশ করেননি, এমন প্রার্থীকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মানিকের বিরুদ্ধে। মানিকের এক বয়ানের সঙ্গে অন্য বয়ান স্ব-বিরোধী বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

CBI on Manik Bhattacharya: মানিকই 'নাটের গুরু', প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ CBI-র
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: May 03, 2023 | 11:44 PM
Share

কলকাতা: প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এবার আরও বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। সেখানে প্রাথমিক নিয়োগের বেনিয়মের ক্ষেত্রে মূল কান্ডারি হিসেবে কার্যত মানিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বেআইনিভাবে নম্বর বাড়ানো থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ সামনে এনেছে সিবিআই।

কী কী অভিযোগ রয়েছে সিবিআই-এর রিপোর্টে:

১. অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া দিতে ২০১৪-র প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়ম হয়েছিল। ২০১৪-র টেট পরীক্ষার ক্ষেত্রেও বেনিয়ম হয়েছিল বলে অভিযোগ।

২. যোগ্য প্রার্থীদের বিভ্রান্ত করতে ভুল প্রশ্ন সাজানো হয়েছিল টেটের প্রশ্নপত্রে! টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগের ক্ষেত্রে বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের নামও উল্লেখ করেছে সিবিআই।

৩. তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী-সহ পর্ষদের একাধিক প্রাক্তন আধিকারিককে আগেই তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিভিন্ন নথি নষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির একটি বৈঠকে। মানিকের নেতৃত্বেই সেই বৈঠক হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

৪. অভিযোগ, ভুল প্রশ্নের কারণে ২৭০ জন প্রার্থীর যে নম্বর বাড়ানো হয়েছিল, সেটাও নাকি সবাইকে অন্ধকারে রেখেই করেছিলেন মানিক। অভিযোগ, বোর্ড মিটিং-এ নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। তবে সেই রেজোলিউশনের কপি দেওয়া হয়নি কমিটির সদস্যদের। শিক্ষা দফতরের অনুমোদন নিয়ে এটা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মানিক।

৫. ইচ্ছে করে ভুল উত্তর শনাক্ত করে দুর্নীতির ছক কষা হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছে গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআইয়ের প্রাথমিক রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইচ্ছে করে আইন সংশোধন করে বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয় মানিককে সভাপতি পদে রেখে দিতেই। মন্ত্রিসভা থেকে পাশ হয়েছিল সেই সিদ্ধান্ত। ২০১৬ সালে আইনে সংশোধন এনে সভাপতি পদে থাকার সর্বোচ্চ বয়সকে ৬২ থেকে ৬৫ করা হয়েছিল।

টেট পরীক্ষায় পাশ করেননি, এমন প্রার্থীকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মানিকের বিরুদ্ধে। মানিকের এক বয়ানের সঙ্গে অন্য বয়ান স্ববিরোধী বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এই রিপোর্ট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শুধু মানিক ভট্টাচার্যই নন, বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও পুত্রও।