সৌরভ দত্ত: নভেল করোনাভাইরাসের (Coronavirus) হানায় কাবু ব্রিটেন এপ্রিলে ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছিল। ডিসেম্বরে ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের খোঁজে এ দেশের গবেষণা সংস্থাগুলিকে নিয়ে কনসর্টিয়াম (Covid Consortium) গড়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও (Central Health Ministry)।
ব্রিটেনে সন্ধান মেলা ভাইরাসের নতুন প্রকারভেদ ‘ভিইউআই-২০২০/০১’-এর দাপট সারা বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। যার প্রেক্ষিতে সোমবার দেশের গবেষণা সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরে ব্রিটেন থেকে আগত বিমান পরিষেবার উপরে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু সেখানেই সীমাবদ্ধ না থেকে ব্রিটেনের ধাঁচে গবেষণার সম্মিলিত মঞ্চ তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর। মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত একটি বৈঠক ছিল। বৈঠকে হাজির কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধিদের একাংশ জানান, ব্রিটেনের যে ’স্ট্রেন’ সংক্রমণ ছড়ানোর প্রশ্নে অনেক বেশি সক্ষম বলা হচ্ছে তা এখানকার কোনও নাগরিকদের মধ্যে বাসা বেঁধেছে কি না তা জানতে সারা দেশে ভাইরাসের গতিবিধির উপরে প্রতিনিয়ত নজরদারি বাড়ানো হবে। সেই লক্ষ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যল রিসার্চ, সেন্টার অব সায়েন্টিফিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্স, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের মতো গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কনসর্টিয়াম গড়া হবে বলে প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে। নভেম্বর থেকে ব্রিটেন ফেরত সকল ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করবে কনসর্টিয়াম। এরপর তাঁদের মধ্যে কারও কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর মিললে সেই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ইতিমধ্যে দেহে উদ্বেগের ‘স্ট্রেন’ প্রবেশ করেছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হবেন গবেষকেরা। শুধু নভেল করোনাভাইরাস নয়। আগামিদিনে অন্য সংক্রমণের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণেও কনসর্টিয়াম সক্রিয় থাকবে বলে খবর।
আরও পড়ুন: চাল-ডালের সঙ্গেই পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কোভিড পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত স্কুলশিক্ষা দফতরের
গত এপ্রিলে চারটি জনস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে কনসর্টিয়াম গড়েছিল ব্রিটেন। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনার ‘RANDOM জেনেটিক সিকোয়েন্স’ করে কোভিড-১৯ জিনোমিক্স ইউকে কনসার্টিয়াম। অতি মহামারীর গতিবিধির সন্ধান পেতে এ পর্যন্ত এক লক্ষ ৪০ হাজার নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করেছে ব্রিটেনের গবেষণার সম্মিলিত মঞ্চ।
মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত গবেষকদের একাংশ বলেন, “ব্রিটেনে সেপ্টেম্বরে প্রথম নতুন স্ট্রেনের আভাস মিলেছিল। নভেম্বরে সে দেশের গবেষকেরা নতুন স্ট্রেনের অস্তিত্বে সিলমোহর দেন। এত দেরি যাতে না হয় সেই বিষয়টি মাথায় রেখে ভারতের কনসর্টিয়ামের কর্মপদ্ধতি ঠিক করার কথা ভাবা হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি এখনও আলোচনার স্তরে রয়েছে। চূড়ান্ত কিছু হয়নি।”
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে পজেটিভ! হাসপাতালে ‘অসম্পূর্ণ’ করোনা রিপোর্ট এল লন্ডন ফেরত যাত্রীর