কৃষকদের মন গলানোর চেষ্টা, আট পাতার চিঠি প্রকাশ কেন্দ্রের

চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত, তবে বিরোধীদের কোনও প্রচেষ্টাকে আশকারা দেওয়া হবে না।

কৃষকদের মন গলানোর চেষ্টা, আট পাতার চিঠি প্রকাশ কেন্দ্রের
সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 18, 2020 | 10:59 AM

নয়া দিল্লি: কৃষকদের মন গলাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার বিজেপির দলীয় বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar) কৃষকদের উদ্দেশ্যে লেখা আট পাতার একটি চিঠি প্রকাশ করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পিযুষ গোয়েল, নির্মলা সীতারমন। তাঁদের উপস্থিতিতেই ওই চিঠি প্রকাশ করা হয়।

সরকারের তরফে প্রকাশিত সেই চিঠিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নিজেই টুইট করে লেখেন,”নরেন্দ্র তোমারজী শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার চেষ্টা করে কৃষক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখেছেন। এই চিঠির মাধ্যমে তিনি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। সকল অন্নদাতা ও দেশবাসীর কাছে আমার অনুরোধ, এই চিঠিটি অবশ্যই পড়ুন।”

চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত, তবে বিরোধীদের কোনও প্রচেষ্টাকে আশকারা দেওয়া হবে না। বিরোধীরা কৃষকদের ভুল পথে চালিত করার প্রচেষ্টা করছে বলে দাবি করে চিঠিতে বলা হয়, “বিগত ২০ থেকে ২৫ বছরে কোনও কৃষক নেতা বা সংগঠনের এমন কোনও বিবৃতি দেখান, যেখানে তারা বলেছেন কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের জন্য ভাল দাম পাওয়ার কোনও বিকল্প পথ থাকা উচিত নয়।”

আরও পড়ুন: রাম মন্দির নির্মাণে রাগ হয়েছে! কৃষক আন্দোলনে বিরোধী সংযোগের ব্যাখ্যা দিলেন যোগী

গতকালের প্রকাশিত চিঠিতে কৃষকদের জন্য নতুন কোনও কথাই লেখা হয়নি। পুরনো কথাই ফের একবার পুনরাবৃত্তি করে জানানো হয়, কৃষকরা মান্ডি ব্যবস্থায় যে নূন্যতম সহায়ক মূল্য (Minimum Support Price) পেত, তা বজায় রাখা হবে। কৃষকদের সুবিধার্থে এপিএমসি (APMC)-ও জারি রাখা হবে। কৃষকদের মনে জমি কেড়ে নেওয়ার যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে, সেই বিষয়ে আশ্বস্ত করে চিঠিতে বলা হয়, “কৃষকদের জমির মালিকানা বজায় থাকবে। তাদের জমির এক ইঞ্চিও কেড়ে নেওয়া হবে না।”

কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) সামাল দিতে সরকারের তরফে ১০ দফার একটি কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই চিঠি তারই একটি অংশ। এরপর কৃষি আইন (Farm Laws) নিয়ে জনমত নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। একইসঙ্গে দলের প্রবীণ নেতা ও মন্ত্রীরা দেশের ৭০০টি জেলায় গিয়ে নয়া কৃষি আইনের উপকারিতা সম্পর্কেও সাধারণ মানুষকে বোঝাবেন বলে জানানো হয়েছে।

আন্দোলনের সুরাহা করতে কৃষক নেতাদের প্রত্যেকের সঙ্গে কেন্দ্র যেভাবে আলাদা বৈঠক করছে, তাতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভেদের সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই দাবি বিরোধীদের। গতকাল সেই পরিকল্পনায় কিছুটা জল ঢেলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, সরকার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে অসফল হয়েছে।

আদালতের তরফে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়। বলা হয়, যাদের কৃষি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে, এমন কয়েকজন সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা উচিত। দুই পক্ষের কথা শোনার পর কমিটি একটি রিপোর্ট তৈরি করবে এবং সুপারিশও দেবে।

আরও পড়ুন:ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ! তদন্তের জন্য মহারাষ্ট্রর ডিজিপির দ্বারস্থ মহিলা কমিশন