ভিডিয়ো: ভ্যাকসিন নয়, ‘মদই করোনা থেকে থেকে বাঁচাবে’, ভাইরাল বৃদ্ধার দাওয়াই

তিনি বলেন, "ওষুধে আমার কিছু হবে না। মদ খেলেই সুস্থ থাকব। হাপাসাতাল, চিকিৎসক কারোর কাছেই যেতে হবে না।"

ভিডিয়ো: ভ্যাকসিন নয়, 'মদই করোনা থেকে থেকে বাঁচাবে', ভাইরাল বৃদ্ধার দাওয়াই
ছবি - এএনআই
Follow Us:
| Updated on: Apr 19, 2021 | 5:23 PM

নয়া দিল্লি: দিল্লিতে জারি হয়েছে ৭ দিনের লকডাউন। আর তারপরই মদের দোকানে উপচে পড়া ভিড়। যে যতটা পারছেন মদ কিনে নিচ্ছেন। সেরকমই শিবপুরি গীতা কলোনিতে দেখা যায় মদের দোকানের সামনে লম্বা লাইন। আর সংবাদ সংস্থা এএনআইর টুইট করা ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে এক বৃদ্ধা করোনার আজব দাওয়াই দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, ইঞ্জেকশনে কিছু হবে না। মদ খেলেই নাকি করোনা থেকে বাঁচা যাবে।

তিনি বলেন, “ওষুধে আমার কিছু হবে না। মদ খেলেই সুস্থ থাকব। হাপাসাতাল, চিকিৎসক কারোর কাছেই যেতে হবে না।” পাশাপাশি লকডাউনে মদের দোকান খোলা রাখার দাবি তাঁর। দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৪৬২ জন। সংক্রমণের দ্রুততা রুখতেই লকডাউনের পথে হেঁটেছে কেজরীবাল প্রশাসন। তারপরে মদের দোকানে এহেন লাইন দেখে হতবাক নেটিজ়েনরা। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, যদি এ ভাবে ঠাসাঠাসি ভিড়ে মদ কেনা হয়, তাহলে লকডাউনের কী মানে?

সোমবার রাত ১০টা থেকে দিল্লিতে লকডাউন শুরু হবে, চলবে আগামী সপ্তাহের সোমবার ভোর পাঁচটা অবধি। এই সময়কালে কেবল জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খাবার ডেলিভারি, ওষুধ ডেলিভারি চালু থাকবে। কার্ফুর নিয়ম মতোই বিয়েবাড়ির ক্ষেত্রে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে, সেক্ষেত্রে বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই সমস্ত বেসরকারি অফিসের কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খোলা থাকবে বেশ কিছু সরকারি অফিসও। পরীক্ষার্থীরাও আইডি কার্ড দেখিয়ে পরীক্ষা দিতে যেতে পারবেন। এছাড়াও যাঁরা করোনা পরীক্ষা বা টিকা নিতে যাচ্ছেন, তাঁদের বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। গর্ভবর্তী বা অসুস্থ কোনও ব্যক্তিও চিকিৎসার কাগজ দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। বিমানবন্দর কিংবা বাস, ট্রেনে আগত ব্যক্তিরাও টিকিট দেখালে তাঁদের যেতে দেওয়া হবে। খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক, বিমা অফিস ও এটিএমগুলি। টেলিকমিউনিকেশন, ইন্টারনেট ও কেবল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও লকডাউনের নিয়ম থেকে ছাড় পাবেন। পেট্রল পাম্প, এলপিজি, সিএনজি ও গ্যাসের দোকান খোলা থাকবে। ধর্মীয় স্থানগুলি খোলা থাকলেও তাতে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য উৎপাদন চালু থাকবে, সেখানে কর্মীদের যাতায়াতেও কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবাও চালু থাকবে।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত মহিলাকে ২ বার ধর্ষণের চেষ্টা ওয়ার্ড বয়ের, গ্রেফতার অভিযুক্ত