ফের অক্সিজেন সঙ্কটে দিল্লির ২ হাসপাতাল, মধ্যরাতে ‘ত্রাতা’ আপ-বিজেপি নেতারা

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Apr 25, 2021 | 6:27 AM

দিল্লিতে একাধিক হাসপাতালে দেখা যাচ্ছে অক্সিজেন সঙ্কট। গতকাল রাতে গঙ্গারাম হাসপাতাল ও গান্ধী হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, তাদের কাছে এক ঘণ্টার অক্সিজেন পড়ে রয়েছে।

ফের অক্সিজেন সঙ্কটে দিল্লির ২ হাসপাতাল, মধ্যরাতে ত্রাতা আপ-বিজেপি নেতারা
ফাইল চিত্র।

Follow Us

নয়া দিল্লি: ফের অক্সিজেন সঙ্কটে ধুঁকছে দিল্লির দুই হাসপাতাল। শনিবার রাতে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতাল ও গান্ধী হাসপাতালের তরফে জানানো হয় মাত্র এক ঘণ্টা চলার মতো অক্সিজেন অবশিষ্ট রয়েছে। মাঝরাত পার হতেই দুটি হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে কেজরীবাল সরকার।

শনিবার রাত ১১টা নাগাদ দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের তরফে অক্সিজেন ফুরিয়ে আসার কথা জানানো হয়। বলা হয়, যে পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে, তাতে মাত্র ৪৫ মিনিট বা এক ঘণ্টা রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব। ১০০ জনেরও বেশি রোগীর জীবন সঙ্কটে রয়েছে।

সূত্র অনুযায়ী, মাত্র ৫০০ কিউবিক মিটার অক্সিজেন পড়েছিল হাসপাতালে। অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্ন হওয়ায় ভেন্টিলেটর ও বাইপ্যাপ মেশিনের অ্যালার্মও বাজতে থাকে। চিকিৎসক ও নার্সরাই রোগীদের ম্যানুয়ালি ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করে। এই নিয়ে চারবার গঙ্গারাম হাসপাতালে অক্সিজেন ফুরিয়ে এল।

তবে রাত একটা নাগাদ আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডা টুইট করে জানান, তরল অক্সিজেন নিয়ে একটি ক্রায়োজেনিক গঙ্গারাম হাসপাতালের পথে রওনা দিয়েছে। সম্পূর্ণ অক্সিজেনের ব্যবস্থা না হওয়া অবধি আপাতত এই দিয়ে চাহিদা মেটানো হোক।

অন্যদিকে, উত্তর নগরের গান্ধী হাসপাতালের তরফে আলিশা গান্ধী টুইট করে লেখেন, “এমার্জেন্সি। ৬০ জবেরও বেশি রোগীর প্রাণ সঙ্কট তৈরি হয়েছে। দয়া করে সাহায্য করুন। আমরা নিজেরাও অক্সিজেন জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছি। স্থানীয় পুলিশদের কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে মাত্র এক থেকে দুই ঘণ্টার অক্সিজেন পড়ে রয়েছে।”

রাত ১২টা ৪৫ নাগাদ তিনিই আবার জানান, বিজেপি নেতা তাজিন্দর বাগ্গা ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করতে সাহায্য করেছে। দিল্লি পুলিশ আরও অক্সিজেন জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এর আগে গতকালই দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, অক্সিজেনের অভাবে তাদের ২৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট করলেই বাড়তে পারে বিপদ, কেন?

Next Article