AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভ্যাকসিন নিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট করলেই বাড়তে পারে বিপদ, কেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীর এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত হয়েছে কি না সেটা অ্যান্টিবডি টেস্ট করে দেখতে গেলে ঠকতে হবে।

ভ্যাকসিন নিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট করলেই বাড়তে পারে বিপদ, কেন?
ফাইল ছবি
| Updated on: Apr 25, 2021 | 7:15 PM
Share

নয়া দিল্লি: ১৩০ কোটি দেশবাসীর মধ্যে শনিবার ১৪ কোটি জনগণকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ। তবে যারা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের একটা বড় অংশের মানুষকে চিন্তায় ফেলেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় তৈরি হওয়া সংক্রমণের সুনামি। প্রতিষেধক নেওয়ার পরও অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে টিকা নিলেও শরীরে আদৌ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে কি না সেই ন্যায্য প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনেকে আবার অ্যান্টিবডি টেস্ট করাতে শুরু করেছেন। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীর এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত হয়েছে কি না সেটা অ্যান্টিবডি টেস্ট করে দেখতে গেলে ঠকতে হবে।

বিশ্বের একটা বড় অংশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা উচিত নয়। আমেরিকার সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ সংস্থার পক্ষ থেকে সাফ করে দেওয়া হয়েছে, “কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে কি না তা বুঝতে অ্যান্টিবডি টেস্ট কখনই কাম্য নয়।” কারণ করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি না সেটা জানতে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা কখনই নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হতে পারে না। এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। উলটে বারবার যদি কেউ নিজের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করাতে থাকেন, তা মানসিক চাপ এবং উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি করতে পারে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, টিকাকরণ সফলভাবে হলেও সেরোলজি (অ্যান্টিবডি) টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ আসার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কেন? কারণ, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীরে অনেক ধরনের হয় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যার মধ্যে কিছু কিছু অ্যান্টিবডি ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু, অ্যান্টিবডি টেস্টে মাত্র এক প্রজাতির অ্যান্টিবডি ধরা পড়ে। ফলে এই পরীক্ষা কখনই বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না।

আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সিনের মূল্য ১২০০ টাকা বেসরকারি হাসপাতালে, কত দামে পাবে কেন্দ্র ও রাজ্য?

নোভেল করোনাভাইরাসের আকৃতি সম্পর্কে কমবেশি ওয়াকিবহাল সকলেই। মাইক্রোস্কোপে করোনাভাইরাসকে দেখতে অনেকটা গোল বলের আকারের, যার মধ্যে লম্বা লম্বা অনেকগুলি স্পাইক রয়েছে। কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেই ভাইরাসের প্রতিটি অংশের সঙ্গেই লড়তে অ্যান্টিবডি তৈরির চেষ্টা করে শরীর। কিন্তু, প্রথাগত কোভিড অ্যান্টিবডি টেস্টের ক্ষমতা নেই সব ধরনের অ্যান্টিবডিকে খুঁজে বের করার।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের সমস্ত ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা মূলত ভাইরাসের স্পাইক অংশটিকে টার্গেট করে তার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি গড়ে তোলে। এ বার যদি ভাইরাসের বলের মতো অংশটিকে ভিত্তি করে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়, তখন রিপোর্টে আসবে যে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। ফলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত থেকে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা না করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অক্সিজেন বিক্রি নিষিদ্ধ রাজ্যে, কালোবাজারি রুখতে কড়া বিজ্ঞপ্তি নবান্নর