National Anthem: এমনও হয়! শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতের RAP, বাজল ডিজে! আর দর্শকরা তখন মজে… ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হল সেই ক্লিপিংস
National Anthem: সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন নেটিজেনরা। তৃণমূল নেতার ক্ষমা চাওয়ার দাবিও উঠছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের রতুয়ায় জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি এবং তাঁর ছেলে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রিয়াজুল করিম বক্সির উদ্যোগে চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে একটি মেলা শুরু হয়।
মালদহ: শীতের মরসুমে তৃণমূল নেতার উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে মেলা। তাও আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। সেই মেলার উদ্বোধনে গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হল র্যাপ করে, ডিজে বাজিয়ে। মঞ্চে শিল্পী গাইছেন র্যাপ। নিয়ন আলোতে দর্শকরা মজে ডিজে-র সঙ্গে। জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ জেলা তৃণমূল সভাপতির মেলার অনুষ্ঠানে। যা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্কের ঝড়। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন নেটিজেনরা। তৃণমূল নেতার ক্ষমা চাওয়ার দাবিও উঠছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের রতুয়ায় জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি এবং তাঁর ছেলে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রিয়াজুল করিম বক্সির উদ্যোগে চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে একটি মেলা শুরু হয়।
এলাকায় সেই মেলা ‘আমার মেলা’ নামে খ্যাত। নেতা ও তাঁর ছেলের নামে এলাকায় একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। মূলত সেই ব্যানারেই হয় এই মেলা। সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে একটি সঙ্গীত অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় বিকৃতভাবে। সেই ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপরও ওঠে বিতর্কের ঝড়।
যে ঘটনাটা ঘটেছে জাতীয় সঙ্গীত বিকৃত করার, সেটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এটা সমাজের কাছে অত্যন্ত ভুল বার্তা পৌঁছাচ্ছে। সব গান নিয়ে র্যাপ হয় না। আমরা ভীষণভাবে মর্মাহত। সামাজিকভাবে অবক্ষয়। শিক্ষানিকেতনে এই ভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া লজ্জার।
শুনে তো আশ্চর্য হয়ে গেলাম। জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলছে। এটা তো অপরাধ। খুবই মর্মাহত। যিনি গান গেয়েছেন, তিনি তো বটেই, আবার তা শুনে দেখছি অনেকে হাততালিও দিচ্ছে।
কখনও গেয়েছে জানি, আমি ছিলাম না। বাইরে গিয়েছিলাম। যে র্যাপার এসেছিলেন, তিনি শিল্প বিকৃত করে গেয়েছিলেন। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা হয়ে থাকে, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
তৃণমূল নেতার অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা হল। র্যাপ করে গান। শিক্ষার অভাব ছাড়া এই কাজ করা যায় না। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার একটা প্রোটোকল রয়েছে। এইভাবে গাওয়া যায়না। আমি প্রশাসনকে বলছি, এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে।