পরবর্তী পদক্ষেপ পরিকল্পনায় বৈঠকে কৃষক নেতারা, ভবিষ্যৎ ঘিরে বাড়ছে জল্পনা

আজ দুপুর ১২টা নাগাদ পঞ্জাবের কৃষক সংগঠনের নেতারা বৈঠকে বসবেন। এরপর দুপুর ২টো নাগাদ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফেও একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ পরিকল্পনায় বৈঠকে কৃষক নেতারা, ভবিষ্যৎ ঘিরে বাড়ছে জল্পনা
গতকালের মিছিলের দৃশ্য। ছবি:ANI
Follow Us:
| Updated on: Jan 27, 2021 | 10:36 AM

নয়া দিল্লি: শান্তিপূর্ণ ট্রাক্টর মিছিলের (Tractor Rally) নামে গতকাল যে সংঘর্ষের রূপ দেখল রাজধানী, তারপরই বুধবার বৈঠকে বসছেন পঞ্জাবের কৃষক নেতারা। বৈঠক শেষে তাঁরা আন্দোলনকারী কৃষকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। মঙ্গলবারের ঘটনার পর লালকেল্লা সংলগ্ন অংশ সহ দিল্লি, হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায় কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী,গতকালের কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ জনেরও বেশি পুলিসকর্মী আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ২২টি মামলা দাখিল করা হয়েছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড শেষের পর সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শান্তিপূর্ণভাবেই দিল্লির ৬০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ট্রাক্টর মিছিল করার কথা থাকলেও কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি প্রস্তাবিত রুট ভেঙেই সকাল ৮টা নাগাদ সিংঘু সীমান্তের (Singhu Border) ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। মিছিল শুরু হলে বিভিন্ন স্থানে কৃষক বনাম পুলিসের সংঘর্ষ শুরু হয়। দিল্লির আইটিও-তে পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতি থেকে শুরু করে অক্ষরধামের কাছে বাস ভাঙচুর-এমনই নানা দৃশ্য দেখা যায়। নাঙ্গোইয়ের কাছে আন্দোলনকারীদের উপর কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতেও দেখা যায়। লালকেল্লা (Red Fort)-এ ঢুকে নিজেদের ধর্মীয় সংগঠনের পতাকা লাগাতেও দেখা যায় আন্দোলনকারী কৃষকদের একাংশকে। আন্দোলন ভয়াবহ রূপ নিতেই একে একে বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনে যাত্রী প্রবেশ বন্ধ, নিরাপত্তা বাড়ল সিংঘু সীমানায়

যদিও শান্তিপূর্ণ মিছিল রণক্ষেত্রের আকার নিতেই সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠন “সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা”র তরফে আন্দোলন রদ করে দেওয়া হয় ও মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সিংঘু সীমান্তেই ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের তরফে মিলিত হয়ে আজ বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ দুপুর ১২টা নাগাদ পঞ্জাবের কৃষক সংগঠনের নেতারা বৈঠকে বসবেন। এরপর দুপুর ২টো নাগাদ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফেও একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠক শেষ তাঁরা সিংঘু সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলবেন। গতকালের ঘটনা ও আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েই আলোচনা করা হবে এই বৈঠকে।

গতকালের ঘটনার সমালোচনা করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amrinder Singh) থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)। প্রথম থেকেই কৃষক আন্দোলনে সমর্থনকারী কংগ্রেসের তরফেও রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)-ও বলেন, “হিংসা সমস্যার সমাধান নয়। আহত যেই হোন না কেন, এতে লোকসান আমাদের দেশেরই।” কেন্দ্রের প্রতি আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের স্বার্থে কৃষক বিরোধী এই আইন প্রত্যাহার করা হোক।”

আরও পড়ুন: দিল্লির রাজপথে প্যারেড বাংলাদেশের সেনার