Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bizarre: থেঁতলানো মাথা, হাতে ট্যাটু- মেয়ের ‘বডি’টা চিনেছিলেন বাবা, ২ বছর পর চোখের সামনে দাঁড়িয়ে সেই ললিতা! এ কী করে সম্ভব

Bizarre: গান্ধী সাগর থানায় পুলিশ সবটা জানানোর পর পুলিশ খোঁজ খবর শুরু করেন। ইতিমধ্যেই সবটা সামনে এসেছে।

Bizarre: থেঁতলানো মাথা, হাতে ট্যাটু- মেয়ের 'বডি'টা চিনেছিলেন বাবা, ২ বছর পর চোখের সামনে দাঁড়িয়ে সেই ললিতা! এ কী করে সম্ভব
Follow Us:
| Updated on: Mar 22, 2025 | 12:16 PM

মধ্য প্রদেশ: সিনেমার স্ক্রিপ্টকেও হার মানাবে এই কাহিনি। যাঁর মৃত্যুশোকে কেঁদে ভাসিয়েছিল বাড়ির লোক, মাথা থেঁতলে যাঁকে খুন করা হল, সেই কি না ফিরে এলেন বাড়িতে! ভূত নাকি! বন্ধু বা আত্মীয়, ললিতা বাই-কে যে দেখছে, সেই থমকে যাচ্ছে। বিষয়টা বুঝতে গেলে বছর দুই আগে ফিরে যেতে হবে।

মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা ললিতা বাই। ২০২৩-এ তাঁর ‘মৃত্যু’ হয়। তাঁর শেষকৃত্যও সম্পন্ন করে তাঁর পরিবার। তাঁকে যারা ‘হত্য়া’ করে তাঁরা এখনও জেল খাটছে। কিন্তু ‘কাহানি মে টুইস্ট’ এল দিন দুয়েক আগে। হঠাৎ দেখা গেল, গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জল-জ্য়ন্ত ললিতা। মান্দাসুর জেলায় তাঁকে দেখা যাওয়ার পর চমকে যান ললিতার বাবাও। সঙ্গে সঙ্গে থানায় ছোটেন তিনি।

গান্ধী সাগর থানায় পুলিশ সবটা জানানোর পর পুলিশ খোঁজ খবর শুরু করেন। থানার অফিসার-ইন-চার্জ তরুণা ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ললিতা খুন হননি, নিজের ইচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন। ললিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, শাহরুখ নামে এক ব্যক্তি তাঁকে ভানপুরায় নিয়ে গিয়ে এক ব্য়ক্তির কাছে বিক্রি করে দেন ৫ লক্ষ টাকায়। সেই ব্যক্তি ললিতাকে রাজস্থানের কোটায় নিয়ে চলে যায়, যেখানে ১৮ মাস ছিলেন তিনি।

ললিতা আরও জানান, তাঁর কাছে মোবাইল না থাকায় তিনি যোগাযোগ করতে পারেননি কারও সঙ্গে। কোনও ক্রমে পালিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি। আধার কার্ড দিয়ে নিজের পরিচয়ও দিয়েছেন তিনি।

২ বছর আগে কী হয়েছিল?

২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে ললিতা নিখোঁজ হয়ে যান। এর কিছুদিন পর একটি ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে মৃতের মাথা থেঁতলে যায়। সেই দেহ নিজের মেয়ের বলে শণাক্ত করেন ললিতার বাবা। খুনের মামলাও দায়ের হয়। পায়ের কালো বেড়ি, হাতের ট্যাটু দেখেই দেহ চিনেছিলেন বাবা। এরপর ললিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শুধু তাই নয়, ললিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরান, শাহরুখ, সোনু ও এজাজ নামে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এখনও জেলে রয়েছেন তাঁরা।

পুলিশ সুপার পদ্মবিলোচন শুক্লা জানিয়েছেন, আগে ওই মহিলার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে, তারপরই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে। তা নিশ্চিত হলে তবেই অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।