তুঙ্গে সংঘাত, কেন্দ্রের শো-কজের জবাব দিতে চলেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়

আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাঁর জবাব তলব করেছে কেন্দ্র। যদিও তিনি কবে সেই জবাবি চিঠি দেবেন তা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।  

তুঙ্গে সংঘাত, কেন্দ্রের শো-কজের জবাব দিতে চলেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 01, 2021 | 7:21 PM

কলকাতা: কেন্দ্রের দাবি ছিল, একাধিক প্রোটোকল ভেঙেছেন রাজ্যের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যসচিব। কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবের পদ অবসর নেওয়ার পর সরাসরি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো-কজ করেছিল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এ বার কেন্দ্রের শো-কজের জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ। ফলে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের প্রাক্তন আমলার এই সংঘাত কম হওয়ার কোনও ইঙ্গিত আপাতত দেখা যাচ্ছে না। উত্তরোত্তর তা বৃদ্ধি পেতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাঁর জবাব তলব করেছে কেন্দ্র। যদিও তিনি কবে সেই জবাবি চিঠি দেবেন তা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের পদ থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় অবসর নেওয়ার পরই কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাঁর জবাব তলব করা হয়। কী কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? সরাসরি এই প্রশ্ন রাখা হয় চিঠিতে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, তিনি সেই চিঠির জবাব দেবেন। ব্যক্তিগতভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠির এই জবাব দেবেন আলাপন। এতে রাজ্য সরকার বা নবান্নের কোনও ভূমিকা থাকবে না। যেহেতু গত কয়েকদিন যাবৎ কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে এই চাপানউতোরের কেন্দ্রে আলাপন থেকেছেন, এবং শোকজের চিঠিও সরাসরি তাঁকেই পাঠানো হয়েছে, সেই কারণে এ বার নিজেই জবাব দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

কেন্দ্রের চিঠিতে দাবি তোলা হয়, কলাইকুণ্ডায় নামার পর ১৫ মিনিট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি তাঁকে স্বাগত জানাননি। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপন এলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিনি বেরিয়ে যান। এই আরচণকে প্রোটোকল লঙ্ঘন বলেই দাবি করছে কেন্দ্র। যে কারণে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে, চিঠিতে আলাপনকে কী লিখল কেন্দ্র?

তবে রাজ্যের মুখ্যসচিব থাকাকালীন একরকম ব্যবহার, এবং অবসরগ্রহণের পর কেন্দ্রে এহেন ব্য়বহার কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছে আমলা মহল। কোনও রাজনৈতিক টানাপড়েনের জেরে ইতিপূর্বে এ ভাবে কোনও আমলাকে ‘হেনস্থা’ করার উদাহরণ ভারতের আমলাতান্ত্রিক ইতিহাসেও খুব একটা নেই বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের একটা বড় অংশের। বিশেষ করে মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরও যেভাবে পুরো ঘটনার রেশ দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে, তার পিছনে প্রচ্ছন্নভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ভূমিকা নিচ্ছে কি না, এই প্রশ্নও তুলে দিচ্ছেন অনেকে।

আরও পড়ুন: বলার অধিকার শুধু অধিকারীরই, ‘সেন্সর’ পেরিয়ে আলাপন-পর্ব নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির শুভেন্দু