Gurugram: বাড়িতে মায়ের লাশের পাশে কাঁদছে শিশু, ৩০ কিমি দূরে বাবা দিল মরণঝাঁপ!
Gurugram: বছরের প্রথম দিনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী গুরুগ্রাম। বর্ষশেষের রাতেই গুরগুগ্রামের এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলার দেহ। তার পাশে শুয়ে কাঁদছিল এক বছরের সন্তান। তার বাবার দেহ পাওয়া গেল এদিন সকালে, গুরুগ্রাম থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে।
নয়া দিল্লি: বছরের প্রথম দিনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী গুরুগ্রাম। বর্ষশেষের রাতেই গুরগুগ্রামের এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলার দেহ। তার পাশে শুয়ে কাঁদছিল এক বছরের সন্তান। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না মহিলার স্বামীর। তাঁকে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে ওই ব্যক্তির লাশের সন্ধান মিলল সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে, গুরুগ্রাম থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কৌশাম্বীতে। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকালে মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি! ফলে, বছরের প্রথম দিনই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা-মা দুজনকেই হারাল ১ বছরের শিশুটি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম গৌরব শর্মা। গুরুগ্রামের ডিএলএফ এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে, থাকতেন গৌরব, তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী রাওয়াত এবং তাঁদের এক বছরের সন্তান। তারা আদতে আগ্রার বাসিন্দা। মাস ছয় আগে থেকে এই বাড়িতে থাকা শুরু করেছিলেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাতেই ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তারা লক্ষ্মী রাওয়াতের দেহ উদ্ধার করেছিল। মায়ের লাশের পাশেই শুয়ে কাঁদছিল তাঁদের সন্তান। তবে, খোঁজ ছিল না ২৩ বছরের গৌরবের। তাকে গ্রেফতারের জন্য, বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু, এদিন সকালে উত্তর প্রদেশের কৌশাম্বী থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের খবর আসে। পুলিশ জানতে পারে, ওই মৃত ব্যক্তিই ‘পলাতক’ গৌরব।
পরে, জানা যায় কৌশাম্বী মেট্রো স্টেশনে আত্মঘাতী হয়েছেন গৌরব। স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সাড়ে ১০টা নাগাদ মেট্রো স্টেশনে পৌঁছেছিলেন গৌরব। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের নজরদারি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, তিনি ওই প্ল্যাটফর্মের রেলিংয়ের খুব কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যে জায়গা থেকে ট্রেনগুলি গাজিয়াবাদের ব্লু লাইনের শেষ স্টেশন বৈশালী যাওয়ার জন্য পূর্বদিকে ঘুলে যায়, সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। ট্রেন আসতেই তিনি রেলিং পেরিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ মারেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। কৌশাম্বি মেট্রো স্টেশনের ওই প্ল্যাটফর্মটি এক আবাসিক এলাকার খুব কাছে অবস্থিত। ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর দেহটি মেট্রো স্টেশনের পাশের সার্ভিস লেনের পার্কিং এলাকায় গিয়ে ছিটকে পড়েছিল। রাস্তায় রক্তের দাগও ছিল।
তবে, কী কারণে গৌরব শর্মা তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। পুলিশ তাঁর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই বিষয়ে আরও তদন্ত করছে। শিশুটিকে কার হেফাজতে দেওয়া হবে, সেই বিষয়টিও ঠিক করতে হবে প্রশাসনকে।