নয়া দিল্লি: এই প্রথম ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন এক সেনা দম্পতি। দুটি ভিন্ন বাহিনীর সদস্য হিসাবে কর্তব্য পথে কুচকাওয়াজে পা মেলাবেন মেজর জেরি ব্লেইজ এবং ক্যাপ্টেন সুপ্রীতা সি টি। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের ইতিহাসে এর আগে কোনও দম্পতিকে একসঙ্গে অংশ নিতে দেখা যায়নি। ২০২৩-এর জুনেই বিয়ে করেছেন তাঁরা। তবে, কুচকাওয়াজে তাঁরা একসঙ্গে অংশ নেওয়ার জন্য আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা করেননি। একেবারেই কাকতালীয়ভাবে ঘটেছে এটা বলে দাবি করেছেন ক্যাপ্টেন সুপ্রীতা।
তিনি বলেছেন, “আমাদের কোনও পরিকল্পনা ছিল না। এটা একেবারেই কাকতালীয় ঘটনা। প্রাথমিকভাবে, আমি কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার জন্য আমার নির্বাচন পরীক্ষা দিয়েছিলাম এবং পাস করি। তারপর আমার স্বামীও তাঁর রেজিমেন্ট থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।” তবে, কর্তব্যপথে এই প্রথম কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন তাঁরা, তা নয়। কলেদে পড়ার সময় থেকেই দুজনে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসের সদস্য ছিলেন। এনসিসির হয়ে এর আগে তাঁরা দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন বছরে কুচকাওয়াজে পা মিলিয়েছেন।
মেজর ব্লেইজ বলেছেন, “আমার স্ত্রী ২০১৬ সালে নয়াদিল্লির কর্তব্য পথে এনসিসির হয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিল। আমিও ২০১৪ সালে এনসিসির প্রজাতন্ত্র দিবসের ক্যাম্পের অংশ হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম৷ সেই ঘটডনা আমায় পরবর্তী জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। এবার কর্তব্য পথে ২০২৪ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে আমার রেজিমেন্টকে আমি নেতৃত্ব দেব।”
ক্যাপ্টেন সুপ্রীতা কর্নাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা। সেখানকার জেএসএস আইন কলেজ থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রিআছে তাঁর। আর মেজর ব্লেইজের বাড়ি তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটনে। তিনি বেঙ্গালুরুর জৈন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বর্তমানে তাঁরা দুজনেই দিল্লিতে থাকেন। তবে তাঁদের রেজিমেন্ট ভিন্ন, তাই কুচকাওয়াজের অনুশীলনে তাঁদের আলাদা আলাদাভাবেই অংশ নিতে হচ্ছে। ক্যাপ্টেন সুপ্রীতা বলেছেন, “আমার স্বামী মাদ্রাজ রেজিমেন্টের, আর আমি সামরিক পুলিশ কন্টিনজেন্ট কর্পসের সদস্য। আমাদের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ ও তার অনুশীলন আমাদের দুজনকে গত দুই মাস ধরে নয়াদিল্লিতে একসঙ্গে সময় কাটাবার সুযোগ করে দিয়েছে। এটা আমাদের দুজনের জন্যই অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।” তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবার এতে খুব খুশি। তাঁরা সকলেই প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখতে আসবেন।