নয়া দিল্লি: ফের একবার সেনা স্তরের আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত ও চিন। একদিকে সমস্যার পারদ চড়ছে। অন্যদিকে, সমাধানে আলোচনায় বসছে ভারত। এই বৈঠক হলে এটি হবে ১৪ তম বৈঠক। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই বিষয়েই আলোচনায় বসছে ভারত ও চিন। এই বিষয়ে সহমত হয়েছে ভারত এবং চিন।
এর আগেও একাধিকবার সেনা স্তরে আলোচনা হয়েযে দুই দেশের। কিন্তু এরপরেও খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি সেই আলোচনা। এখনও ভারতের একাধিক জায়গায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে চিনা ফৌজ। শুধু তাই নয়, ভারত সীমান্ত ঘেঁষে লাগাতার সেনা সংখ্যাও বাড়াচ্ছে বেজিং। চিন সীমান্তে পরিকাঠামো বৃদ্ধি ও গ্রাম তৈরি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই ঘটনাকে নেপথ্যে রেখেই আলোচনায় বসতে চলেছে দুই দেশ।
ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রক আগেই আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সমস্যা মেটাতে কূটনৈতিক ও সামরিকস্তরে আলোচনা জারি থাকবে। সেটাই আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত ১০ অক্টোবরও দুই দেশের মধ্যে সামরিকস্তরে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠক শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি। সেই সময় চিন দাবি করেছিল দিল্লি অবাস্তব দাবি করছে।
এ দিকে, লাদাখ থেকে চিনের সেনা একটু একটু করে সরলেও অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের কাছে যে ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে উদ্বেগ বাড়ছে ক্রমশ। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গৃহীত ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে পরপর ৬০ টা বাড়ি। নতুন এই এনক্লেভ বা নির্মাণ ওই স্থানে ২০১৯-এও ছিল না। অরুণাচল সীমান্ত ঘেঁষে যে চিনা গ্রাম তৈরি হয়েছে, তার ৯৩ কিলোমিটার পূর্বে তৈরি হয়েছে ওই নতুন নির্মাণ।
পেন্টাগন সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, চাইনিজ টিবেট অটোনমাস রিজিয়ন ও অরুনাচল প্রদেশে এলএসির ইস্টার্ন সেক্টরে ১০০টির বেশি ঘর নিয়ে একটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে চিন। এমনকী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লাল ফৌজ তাদের সেনাও মোতায়েন করেছে বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই বিষয়ে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত জানিয়েছে, ভারতের ভূখণ্ডে এমন কোনও গ্রাম তৈরি হয়নি।
আরও পড়ুন: TMC in Tripura: বারবার আক্রান্ত তৃণমূল! আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ঘাসফুল শিবির