‘ভারত বেঁচে আছে নেহরু-গান্ধীর জন্যই’, ‘আত্মনির্ভরতা’কে কটাক্ষ শিবসেনার
তুলনামূলক গরিব দেশ ভারতকে সাহায্য করলেও কেন ২০ হাজার কোটি টাকার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট বন্ধ হচ্ছে না? সেই প্রশ্নই করেছে উদ্ধব ঠাকরের দল।
মুম্বই: করোনা (COVID) বিধ্বস্ত ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে একাধিক দেশ। আমেরিকা-রাশিয়ার মতো উন্নত দেশ থেকে শুরু করে ভুটান, বাংলাদেশের মতো কম উন্নত দেশও করোনা যুদ্ধে ভারতের সঙ্গে একযোগে লড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট’ নিয়ে কেন্দ্রকে চরম কটাক্ষ মহারাষ্ট্রের শিবসেনার। তাদের মুখপত্র সামনায় একটি সম্পাদকীয়তে দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারত বেঁচে আছে নেহরু-গান্ধীর তৈরি পদ্ধতির জন্যই।
খোলসা করে বললে দাঁড়ায় পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীদের তৈরি পদ্ধতির জোরেই ভারত করোনা যুদ্ধে বেঁচে থাকতে পারছে, এমনটাই দাবি শিবসেনার। সামনায় দলের তরফে লেখা হয়েছে, “ইউনিসেফ ভারতের করোনা সংক্রমণ বিশ্বের জন্য ভয়ঙ্কর বলে চিহ্নিত করেছে। তারা আবেদন করেছে ভারতের এই যুদ্ধে যেন অন্যান্য দেশ পাশে এসে দাঁড়ায়। সেই মতো বাংলাদেশ ১০ হাজার রেমডেসিভির পাঠিয়েছে। ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ‘আত্মনির্ভর ভারতকে’ সাহায্য করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট বন্ধ করতে রাজি নন।”
তুলনামূলক গরিব দেশ ভারতকে সাহায্য করলেও কেন ২০ হাজার কোটি টাকার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট বন্ধ হচ্ছে না? সেই প্রশ্নই করেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। তাদের দাবি, বর্তমান শাসকের ভুল নীতির কারণেই ভারতের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। শিবসেনার দাবি, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিজেপি সরকার সে দিকে না তাকিয়ে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপ দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সামনায় এ-ও লেখা হয়েছে, খোদ বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দাবি করেছেন নিতিন গডকরীকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া উচিত, কারণ হর্ষ বর্ধন ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, বারবার বিরোধীরা সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছে। কয়েকদিন আগেই রাহুল গান্ধী কেন্দ্রের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টকে ‘ক্রিমিনাল ওয়েস্টেজ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে কোনওভাবেই রোখা যাচ্ছে না সংক্রমণের গতি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ১ হাজার ৭৮ জন। তবে মৃত্যুর সংখ্যায় সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৮৭ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ কোটি ১৮ লক্ষ ৯২ হাজার ৬৭৬-এ।
আরও পড়ুন: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি জানতে ৩ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন প্রধানমন্ত্রীর