নয়া দিল্লি: নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতেই কংগ্রেস (Congress) কৃষক আন্দোলনে (Farmers Protest) ইন্ধন জোগাচ্ছে, এই অভিযোগ আগেই তুলেছিল বিজেপি। এবার প্রমাণও জোগাড় করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। শুক্রবার কংগ্রেস নেত্রীর একটি পুরনো ভিডিয়ো টুইট করেন তিনি, যেখানে দেখা যাচ্ছে সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) কৃষিক্ষেত্রকে ‘ফড়ে’ মুক্ত করার কথা বলছেন।
সোনিয়া গান্ধীর ভিডিয়োটি টুইট করে তার ক্যাপশনে জেপি নাড্ডা লেখেন, “কৃষকদের বিভ্রান্ত ও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কংগ্রেসের সতস্যতা ফের একবার সামনে চলে এসেছে। সোনিয়া গান্ধীজী প্রথমে ফড়ে মুক্ত বাজারের সপক্ষে কথা বলতেন, আর এখন বিরোধিতা করছেন। এটা কংগ্রেসের স্বল্প চিন্তাভাবনা, কম তথ্য ও বারবার নিজের কথা থেকে সরে আসার প্রমাণ।”
किसानों को भ्रमित करने और उन्हें उनके अधिकारों से वंचित रखने वाली कांग्रेस का सच फिर उजागर हुआ है। सोनिया गांधी जी पहले किसानों के लिए बिचौलिया मुक्त बाजार की वकालत करती थी और अब इसका विरोध करती है। ये कांग्रेस की मौक़ापरस्त सोच, कम जानकारी व बार-बार बात से पलटने का प्रमाण है। pic.twitter.com/kL17RnssSv
— Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) December 24, 2020
জে পি নাড্ডা টুইটে যে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন, তাতে কোনও দিনক্ষণের উল্লেখ না থাকলেও দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী কোনও এক জনসভায় কৃষি ক্ষেত্রে ফড়েদের সরিয়ে কৃষকদের উৎপাদিতফসলের যোগ্য দামের পক্ষেই সওয়াল করছেন।
আরও পড়ুন:কৃষক বৈঠকেও মমতাকে আক্রমণ, প্রধানমন্ত্রী বললেন, রাজনৈতিক কারণেই চালু করছে না কিসান নিধি প্রকল্প
এই প্রথম নয়, এর আগেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য কৃষকদের ভুলপথে চালিত করার অভিযোগ এনেছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ (Ravi Sankar Prasad) বলেছিলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তারা কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের পক্ষেই সমর্থন জানিয়েছিল। এপিএমসি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টিরও উল্লেখ কংগ্রেসের ২০১৯ সালের ম্যানিফেস্টোতে ছিল। বিভিন্ন রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক কৃষিকাজ মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই শুরু হয়েছিল।”
প্রায় বিগত একমাস ধরে দিল্লির সীমান্তে কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন (Farm Laws)-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। তাঁদের আশঙ্কা, যে কৃষি আইন ফড়েদের সরানোর জন্য আনা হয়েছিল, তাতে হয়তো সরকার ও মান্ডি থেকে প্রাপ্ত নূন্যতম সহায়ক মূল্য (Minimum Support Price) বাদ দিয়ে কৃষকদের কর্পোরেট ক্রেতাদের হাতে শোষিত হওয়ার দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আদর্শ সমাজ গড়ে তোলার বার্তা দিয়ে দেশবাসীকে বড়দিনের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী- রাষ্ট্রপতির