Lalu’s Daughter Quitting Politics: সব সম্পর্ক ছিন্ন! ভোটের-ভরাডুবির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড় ধাক্কা খেলেন লালু
RJD Setback in Bihar Polls: কিন্তু এই সঞ্জয় যাদব ও রামিজ়ই বা কারা? একাংশের মত, আরজেডির রাজ্যসভা সাংসদ ও তেজস্বীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় যাদবের কথাই বলেছেন রোহিণী। অন্যদিকে রামিজ় হলে উত্তর প্রদেশে স্থিতু তেজস্বীরই এক বন্ধু।

পটনা: এবার মেয়ের কাছে ‘ধাক্কা’ খেলেন আরজেডির সভাপতি তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। মাস কয়েক আগের কথা, বিবাদের জেরে নিজের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবকে দল থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছিলেন লালু। শুধু তাই নয়, তেজপ্রতাপের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্কও ছিন্ন করেছেন তিনি। এরপরই বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডির চরম পরিণতি। এই দগদগ ক্ষত এখনও তাজা, ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। কিন্তু তার মধ্যেই আরও একবার ধাক্কা। পরিবার ও রাজনীতির সংস্রব ছাড়়লেন লালু-কন্যা রোহিণী আচার্য।
শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে সেই কথা জানিয়েছেন তিনি। রোহিণী লিখছেন, ‘আমি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার নিজের পরিবারকেও অস্বীকার করছি। সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ় আমাকে এটাই করতে বলেছিলেন। আপাতত এই সব কিছুর দায় আমি মাথা পেতে নিচ্ছি।’ কিন্তু এই সঞ্জয় যাদব ও রামিজ়ই বা কারা? একাংশের মত, আরজেডির রাজ্যসভা সাংসদ ও তেজস্বীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় যাদবের কথাই বলেছেন রোহিণী। অন্যদিকে রামিজ় হলে উত্তর প্রদেশে স্থিতু তেজস্বীরই এক বন্ধু।
I’m quitting politics and I’m disowning my family … This is what Sanjay Yadav and Rameez had asked me to do …nd I’m taking all the blame’s
— Rohini Acharya (@RohiniAcharya2) November 15, 2025
কিন্তু হঠাৎ করেই কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন রোহিণী? লালু-কন্যা পেশায় চিকিৎসক। ২০২২ সালে লালু অসুস্থ থাকাকালীন তাঁকে কিডনি দিয়েছিলেন রোহিণীই। সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে গিয়ে হয়েছিল সেই কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ। এরপর রোহিণীর প্রশংসায় গদগদ হয়ে উঠেছিলেন লালু। বিহারের সারল লোকসভা কেন্দ্র থেকে মেয়েকে টিকিটও দিয়েছিলেন তিনি। তবে ভোটের অঙ্কে বিশেষ ডিভিডেন্ড তুলতে পারেননি রোহিণী।
একাংশের মতে, সেই কিডনি দেওয়া নিয়েই বিবাদ তৈরি হয়েছে যাদব পরিবারে। কেউ কেউ বলেন, তিনি এসব কিছুই করেননি। অবশ্য, সেই সব মন্তব্য নিয়ে হামেশাই সর্বসমক্ষে মুখ খুলেছেন রোহিণী। সাফ জানিয়েছেন, যাঁরা এই সব দাবি করছেন, তাঁরা যেন দাবির সপক্ষে প্রমাণও তুলে ধরে। শুধু তা-ই নয়। রোহিণীর সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ মাঝে মধ্যে প্রকাশ্যেও এসেছে। কখনও তেজস্বীকে বিরূপ মন্তব্য করেছেন তিনি। কখনও নিজের সমাজমাধ্যমে লালু-তেজস্বীকে করেছেন ‘আন-ফলো’। এবার আরও চওড়া হল সেই ফাটল।
