দিল্লির পর এবার কাশ্মীরে বিস্ফোরণ, উড়ে গেল নওগাম পুলিশ স্টেশন, মৃত কমপক্ষে ৭
Nowgam Police Station: জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম পুলিশ স্টেশনে মজুত করে রাখা ছিল উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ উদ্ধার করা বিস্ফোরক। সেই বিস্ফোরক থেকেই শুক্রবার গভীর রাতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত প্রায় ৩০ জন।

শ্রীনগর: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে যে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই বিস্ফোরক থেকেই ফের বিস্ফোরণ। এবার বিস্ফোরণে উড়ে গেল পুলিশ স্টেশন। জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম পুলিশ স্টেশনে মজুত করে রাখা ছিল উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ উদ্ধার করা বিস্ফোরক। সেই বিস্ফোরক থেকেই শুক্রবার গভীর রাতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত প্রায় ৩০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।
জানা গিয়েছে, ফরিদাবাদ থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল দিন কয়েক আগে, সেই ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এনে রাখা হয়েছিল নওগাম পুলিশ স্টেশনে, যেহেতু এই থানাতেই প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছিল। শুক্রবার রাতে যখন পুলিশ ও ফরেন্সিক টিম এই বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন, সেই সময়ে হঠাৎ ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়।
#BREAKING: J&K Police Top Officials tell media journalist, Aditya Kaul, that the massive blast at Nowgam Police Station around 11:20pm tonight happened when FSL team along with Police and Tehsildar were inspecting the large Ammonium Nitrate explosive which was confiscated… pic.twitter.com/hHicZT7U59
— Praffulgarg (@praffulgarg97) November 14, 2025
বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে আশেপাশের বিল্ডিংগুলিও কেঁপে উঠল। থানা থেকে আগুনের শিখা ও কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই আরও পুলিশ, দমকল ও অ্যাম্বুল্যান্স ছুটে আসে। আহতদের উদ্ধার করে আশেপাশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মোট ২৮ জন আহত, ২০ জনকে উজলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ৮ জনকে এসএমএইচএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শ্রীনগরের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরকের কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ ফরেন্সিক ল্যাবে আগেই পাঠানো হয়েছিল, তবে বড় অংশই পুলিশ স্টেশনে রাখা ছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ হয় গত রাতে। এই বিস্ফোরণের তীব্রতাও এতটাই বেশি ছিল যে ৩০০ ফুট দূরে ছিটকে যায় দেহাংশ।
পুলিশ দুটি বিষয় অনুমান করছে। এক, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে যখন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সিল করা হচ্ছিল, সেখান থেকে কোনও কারণে বিস্ফোরণ হয়। দুই, এটাও সন্ত্রাসবাদী হামলা। বাজেয়াপ্ত করা একটি গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরক লাগানো ছিল।
ইতিমধ্যেই জইশ-ই-মহম্মদের ছায়া সংগঠন প্যাফ (PAFF) দায় স্বীকার করেছে। তবে পুলিশ গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। বিস্ফোরণের পরই গোটা চত্বর সিল করে দেওয়া হয়েছে। আনা হয়েছে স্নিফার ডগ।
প্রসঙ্গত, এই ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল ফরিদাবাদের ডঃ মুজাম্মিল শাকিলের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে। মুজাম্মিল আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিল। তার সঙ্গে ডঃ শাহিন শাহিদ ও ডঃ উমর নবির যোগাযোগ ছিল। এরাও আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজেই কর্মরত ছিল। সকলেই জইশের হোয়াইট কলার জঙ্গি মডিউলের সদস্য বলে অনুমান।
