AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Unemployment Figures: সংসদে বেকারত্বের পরিসংখ্যান জানাল কেন্দ্র, বাংলা পরিস্থিতি কী?

Unemployment Figures: কর্মসংস্থান/বেকারত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিসংখ্যান জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (এনএসও), পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রালয় (এমওএসপিআই) দ্বারা আয়োজিত পর্যায়ক্রমিক শ্রম শক্তি জরিপের (পিএলএফএস) মাধ্যমে ২০১৭-১৮ থেকে একত্রিত করা হচ্ছে। ২০১৭-১৮,২০১৮-১৯ আর ২০১৯-২০ এ আয়োজিত পিএলএফএসের পরিণাম অনুযায়ী, হরিয়াণা সহ দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি নির্ভর করে ১৫ বছর আর তার চেয়ে বেশি বয়সের ব্যক্তিদের বেকারত্বের হার অধ্যায় I-তে দেওয়া হয়েছে।'

Unemployment Figures: সংসদে বেকারত্বের পরিসংখ্যান জানাল কেন্দ্র, বাংলা পরিস্থিতি কী?
ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2021 | 9:07 PM
Share

নয়া দিল্লি: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন সরকারের কাছে আলাদা আাদা বিষয়ে বেশকিছু প্রশ্ন রাখা হয়। যার মধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল হরিয়াণার ভিবানী-মহেন্দ্রগঢ়ের সাংসদ ধর্মবীর সিংয়েরও। ধর্মবীর সিং শ্রম আর রোজগার মন্ত্রীর কাছে বেকারত্বের ব্যাপারে রাজ্য ভিত্তিক পরিসংখ্যান, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরকার দ্বারা শুরু করা পরিকল্পনা সমেত বেশকিছু প্রশ্ন করেন। এই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় শ্রম আর রোজগার রাজ্য মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি লিখিত জবাব দেন আর রাজ্য ভিত্তিক বেকারত্বের পরিসংখ্যান জারি করেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০ বছরে নাগাল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি ২৫.৭ শতাংশ বেকারত্বের হার ছিল। অন্যদিকে এই একই সময়ে লাদাখে বেকারত্বের হার ছিল সবচেয়ে কম ০.১ শতাংশ। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯-২০-তে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৪.৬ শতাংশ।

ধর্মবীর সিংয়ের প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে, ‘কর্মসংস্থান/বেকারত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিসংখ্যান জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (এনএসও), পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রালয় (এমওএসপিআই) দ্বারা আয়োজিত পর্যায়ক্রমিক শ্রম শক্তি জরিপের (পিএলএফএস) মাধ্যমে ২০১৭-১৮ থেকে একত্রিত করা হচ্ছে। ২০১৭-১৮,২০১৮-১৯ আর ২০১৯-২০ এ আয়োজিত পিএলএফএসের পরিণাম অনুযায়ী, হরিয়াণা সহ দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি নির্ভর করে ১৫ বছর আর তার চেয়ে বেশি বয়সের ব্যক্তিদের বেকারত্বের হার অধ্যায় I-তে দেওয়া হয়েছে।’

কর্মসংস্থান তৈরি সরকারের প্রাথমিকতা

এই জবাবে আর বলা হয়েছে, ‘কর্মসংস্থান তৈরি করা সরকারের প্রাথমিকতা থেকেছে। ভারত সরকার দেশে কর্মসংস্থান তৈরিকে উৎসাহ দিতে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা (এবিআরওয়াই) আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ ৩.০-র অঙ্গ হিসেবে সামাজিক সুরক্ষা লাভের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করার জন্য নিয়োগকর্তাদের উৎসাহিত করা, তথা কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন কর্মসংস্থানের লোকসান পূরণ করতে ১ অক্টোবর ২০২০ থেকে শুরু করা হয়েছিল। কর্মচারী ভবিষ্যত তহবিল সংস্থার (ইপিএফও) মাধ্যমে সম্পন্ন করা এই প্রকল্প নিয়োগকর্তাদের উপর থেকে আর্থিক চাপ কম করে এবং তাদের আরও বেশি কর্মচারীদের কাজে নিয়োগ করার জন্য উৎসাহিত করে। এই এই প্রকল্পের অধীনে সুবিধাভোগীদের রেজিস্ট্রেশনরে শেষ তারিখ ৩০ জুন, ২০২১ থেকে বাড়িয়ে ৩১ মার্চ ২০২২ করা হয়েছে। ২০ নভেম্বর ২০২১ এ ১.১৫ লাখ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৯.৪৩ লাখ সুবিধাভোগীদের সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল।’

জবাবে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী স্ব-নিধি যোজনা রাস্তার বিক্রেতাদের তাদের ব্যবসা আবারও শুরু করতে সহায়তা করার জন্য এক বছরের জন্য দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অসুরক্ষিত পুঁজিগত মূলধন প্রদানের কাজকে সহজ করেছে। সরকার দ্বারা স্ব-রোজগারকে সহজতর করার জন্য, অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (পিএমএমওয়াই) সম্পন্ন করা হচ্ছে। পিএমএমওয়াই-এর অন্তর্গত সূক্ষ্ম এবং লঘু ব্যবসায়িক উদ্যোগ তথা ব্যক্তিদের নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপকে প্রতিষ্ঠা অথবা বাড়াতে সমর্থ করতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অসুরক্ষিত ঋণ দেওয়া হয়।’

কেন্দ্রীয় শ্রম আর রোজগার রাজ্য মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি লিখিত জবাবে আরও বলেন, ‘এছাড়াও কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য, সরকার দেশে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ যুক্ত বিভিন্ন প্রকল্পকে উৎসাহ দিচ্ছে আর প্রধানমন্ত্রী রোজগার যোজনা, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি যোজনা, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল যোজনা, দীনদয়াল উপাধ্যায় অন্ত্যোদয় যোজনা- জাতীয় নগর জীবিকা মিশন তথা প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা যা ক্রমশ: সূক্ষ্ম, লঘু আর মধ্যম উদ্যোগ মন্ত্রালয়, গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রক, আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক তথা দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা মন্ত্রক দ্বারা পরিচালনা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলিতে সার্বজনিক ব্যয় করা, হরিয়াণা সহ দেশে প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের বিশদ বিবরণ অধ্যায় II এ দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি ছাড়াও মেক ইন ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্মার্ট সিটি মিশন, সংস্কার ও শহর রূপান্তরের জন্য অটল মিশন, সকলের জন্য বাড়ি, পরিকাঠামো উন্নয়ন তথা শিল্প করিডোর তথা উৎপাদন-সম্পর্কিত ইনসেন্টিভ প্রকল্পের মতো সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রামগুলিও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য খোলা রয়েছে।’

প্রসঙ্গত সোমবার ২৯ নভেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই এই বিষয়ে অনুমান করা হচ্ছিল যে বিপক্ষ বেশকিছু বিষয়ে সরকারকে কোনঠাসা করতে পারে আর অধিবেশন শুরু হওয়া মাত্র তেমনটাই হয়েছে। বিপক্ষ দলগুলি সরকারকে আলাদা আলাদা বিষয়ে কোনঠাসা করে জমিয়ে হাঙ্গামা করতে থাকে।

আরও পড়ুন: Sitalkuchi: সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই! শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে নিহতদের পরিবার