Partha Chatterjee in Supreme Court: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ পার্থকে জামিন দিলে সমাজে কী বার্তা যাবে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

Partha Chatterjee in Supreme Court: নিজের পর্যবেক্ষণের কথা জানান বিচারপতি। সাফ বলেন, একাধিক সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রী হয়েও পার্থ চট্টোপাধ্যায় যুক্ত ছিলেন। এটা ‘অফিস অফ প্রফিটের’ মধ্যে পড়ে। তিনি নিজে ডিরেক্টর নিয়োগ করেছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা এবং বেসরকারি সংস্থার নামে একযোগে সম্পত্তি কেনা হয়েছে। তিনি ‘ডামি পার্সন’ রেখেছেন।

Partha Chatterjee in Supreme Court: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ পার্থকে জামিন দিলে সমাজে কী বার্তা যাবে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টে পার্থর জামিন মামলার শুনানি Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2024 | 2:14 PM

নয়া দিল্লি: জল গড়িয়েছে একেবারে সুপ্রিম কোর্টে। যদিও এদিন শুনানির শুরু থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন নিশ্চিত করতে একেবারে তেড়েফুঁড়ে মাঠে নামতে দেখা যায় মুকুল রোহতগীকে। প্রয়োজনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রতিবেশী রাজ্যে থাকবেন বলেও কোর্টকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। যদিও বিচারপতির স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতিগ্রস্তরা এভাবে জামিন পেলে সমাজে কী বার্তা যাবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়। 

যদিও মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে পর্যন্ত পাওয়া আপডেট বলছে, এই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু। ইডি মামলায় জামিন পেলেও সিবিআই মামলায় তিনি এখনও জেলে থাকবেন বলে জানান রাজু। পাল্টা মুকুল রোহতগী বলেন, সবাই জামিন পাচ্ছেন। এটা ঠিক নয়। গোটা পরিস্থিতিটি যেন দুর্ভাগ্যজনক রসিকতার স্বরূপ। এ কথা শুনেই পাল্টা পার্থ প্রসঙ্গে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, সবাই আপনার মতো মন্ত্রী নন। ‘কেস হিস্ট্রি’ মনে করিয়ে তিনি আরও বলেন, আপনার দফতরে নিয়োগ হচ্ছিল। সেখানে দুর্নীতি হয়েছে। On the face of it you are a corrupt person. সমাজে আমরা কী বার্তা দেব? দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষরাও জামিন পেতে পারেন! 

কিন্তু পার্থ যে আড়াই বছরের বেশি সময় জেলে আছেন তা মনে করান রোহতোগী। পাল্টা বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, তাতে কী! আপনার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তপ্ত হয়ে ওঠে এজলাস। যে জায়গায় টাকা উদ্ধার হয়েছে সেই জায়গার মালিকানা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নয় বলে দাবি করেন আইনজীবী মুকুল রহতোগী। 

এ সবের মধ্যে ফের নিজের পর্যবেক্ষণের কথা জানান বিচারপতি। সাফ বলেন, একাধিক সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রী হয়েও পার্থ চট্টোপাধ্যায় যুক্ত ছিলেন। এটা ‘অফিস অফ প্রফিটের’ মধ্যে পড়ে। তিনি নিজে ডিরেক্টর নিয়োগ করেছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা এবং বেসরকারি সংস্থার নামে একযোগে সম্পত্তি কেনা হয়েছে। তিনি ‘ডামি পার্সন’ রেখেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে একজন মন্ত্রী ছিলেন তাও মনে করান তিনি। তাঁর কথায়, মন্ত্রী হয়ে নিজের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই তদন্তের নির্দেশ দেবেন না! যতদিন তিনি মন্ত্রী ছিলেন তাকে কেউ ছোঁবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোর্টের হস্তক্ষেপের পর এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তের পরই সব বিষয় সামনে এসেছে।