অযোধ্যা: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের পর থেকে, মন্দিরে ভক্তের সমাগম বেড়েই চলেছে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মতে, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড় লক্ষ ভক্তের ভিড় হচ্ছে মন্দিরে। এর মধ্যে আসছে রাম নবমী। স্বাভাবিকভাবেই এই সময়, অযোধ্যায় ভক্তদের আরও বড় সমাবেশ দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গরমই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন ট্রাস্ট সদস্যরা। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায়, রামনবমীর সময় অযোধ্যার রাম মন্দিরে এলে, সঙ্গে করে ছাতু আনার পরামর্শ দিয়েছেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই।
শনিবার চম্পত রাই বলেছেন, “সামনে রাম নবমী আসছে। এই সময় ২ লক্ষেরও বেশি দর্শনার্থী আসবেন বলে আশা করছি। কিন্তু, অযোধ্যা কি এই বিপুল সংখ্যক অতিথিকে স্বাগত জানাতে পারবে? গরমই আমাদের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ভক্তদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। বিশেষ করে তারা যাতে খাদ্য এবং জল পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়, তা আমাদের অগ্রাধিকার। জলের সমস্যা হবে না। কিন্তু খাদ্যের ব্যবস্থা করা একটা চ্যালেঞ্জ। অযোধ্যা দর্শনার্থীদের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। আশা করছি ভবিষ্যতেও ঘটবে না। আমি দর্শকদের অনুরোধ করব, নিজেদের নিরাপত্তার কারণে, রাম মন্দির পরিদর্শন করার সময় দলবদ্ধভাবে থাকুন। আগত ভক্তদের আমি তাদের সঙ্গে ছাতু আনতে অনুরোধ করছি। ছাতু খেলে তাঁরা গরমের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।”
নয় দিনের চৈত্র-নবরাত্রি উদযাপনের সমাপ্তিতে, রাম নবমী উৎসব পালন করা হয়। এই দিনেই বিষ্ণুর অবতার হিসেবে রামের জন্ম হয়েছিল বলে কথিত আছে। হিন্দুদের একাংশের বিশ্বাস, অযোধ্যাতেই জন্ম হয়েছিল রামের। কাজেই, রাম নবমীর সময় অযোধ্যার মন্দিরে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে কি ভিড় সামাল দিতে, রাম নবমীর দিনে রামলালাকে দর্শনের সময় বাড়ানো হবে? চম্পত রাইয়ের মতে, রাম লালার মন্দির ২২ ঘন্টা খোলা রাখা অযৌক্তিক। তিনি প্রশ্ন করেছেন, “আমরা কি রামলালাকে ২৪ ঘন্টা জাগিয়ে রাখব?”