
নয়া দিল্লি: যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বাড়ির উপরে বাড়ি মালিকের অধিকারই প্রতিষ্ঠিত হল। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানাল, কোনও বাড়ির ভাড়াটে যদি রেন্ট ডিড (Rent Deed) বা ভাড়ার চুক্তি সই করেন, তাহলে পরে সেই বাড়ির উপরে মালিকানা (Ownership) বা বাড়িতে নিজের অধিকার দাবি করতে পারেন না।
প্রায় এক দশক পুরনো একটি মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। ১৯৫৩ সালে একটি বাড়ির উপরে মালিকানা কার, তা নিয়ে জ্যোতি শর্মা বনাম বিষ্ণু গয়ালের ওই মামলা চলছিল। ট্রায়াল কোর্ট, তারপর দিল্লি হাইকোর্ট ঘুরে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। সেই মামলায় বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন রায় দেন।
১৯৫৩ সালে রামজি দাসের কাছ থেকে একটি দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন। প্রথমে রামজি দাস এবং পরে তাঁর উত্তরসূরীরা এই ভাড়া পেতেন। ১৯৯৯ সালের ১২ মে সম্পত্তির ডিড ও উইল তৈরি হয়। রামজি দাসের পুত্রবধূ জ্যোতি শর্মা দোকানের মালিকানা পান। তিনি পারিবারিক মিষ্টির দোকান সম্প্রসারিত করার জন্য ওই দোকান ছেড়ে দিতে বলেন। তখন ভাড়াটে, অর্থাৎ যিনি আসলে ভাড়া নিয়েছিলেন, তার ছেলে আপত্তি তোলেন। দাবি করেন যে এই সম্পত্তি রামজি দাসের কাকা সুয়া লালের। জ্যোতি শর্মা যে দলিল দেখাচ্ছেন, তা নকল।
শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানিতে ভাড়াটের দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতের রায়ের সাপেক্ষে কোনও প্রমাণ ছিল না। রামজি দাসের সপক্ষেই রায় দেওয়া হয়। যেহেতু ভাড়াটেরা বংশ পরম্পরায় ভাড়া দিয়ে আসছেন, তাই ভাড়াটে-মালিকের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট বলে যে ভাড়াটে যখনই চুক্তি করে, বাড়ি ভাড়া দেয়, তখন সে বাড়ি মালিককে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এরপর তিনি কখনওই জমি মালিকের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বা সম্পত্তিতে নিজের অধিকার দাবি করতে পারেন না।
দীর্ঘ সময় ধরে ওই দোকান ভাড়া থাকায় শীর্ষ আদালতের তরফে ওই ভাড়াটেকে ৬ মাস সময় দেওয়া হয় ভাড়া ফাঁকা করতে।