Supreme Court Of India on ED : পিএমএলএ মামলায় আগের নির্দেশ পুনর্বিবেচনায় সায় সুপ্রিম কোর্টের, খতিয়ে দেখা হবে দুটি বিষয়
Supreme Court Of India on ED : পিএমএলএ মামলায় পূর্ববর্তী দুটি রায় পুনর্বিবেচনার সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে মতামত জানতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছে নোটিসও পাঠানো হয়েছে।
নয়া দিল্লি : গত মাসে ইডির ক্ষমতাকে ছাড়পত্র দিয়ে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সুপ্রিম রায়ের বিরোধিতা করেছিল একাধিক বিরোধী দল। আর্থিক তছরুপ আইনে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে ‘বিশেষ ক্ষমতা প্রদান’-এর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম। সেই মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার শুনানি ছিল। আর্থিক তছরুপ আইনের পূর্ববর্তী দুই সুপ্রিম নির্দেশ পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্তের কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য নোটিস দিয়েছে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
গতমাসে ইডি-র ক্ষমতাকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে বিরোধীদের করা আবেদনের ভিত্তিতে তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আর্থিক তছরুপ আইনের আওতায় আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল ইডিকে। এই মামলায় ইডির আগের ক্ষমতাই বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার আগে তাঁকে ইডির তরফে কেস ইনফরমেশন কপি (ECIR) দেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। আরও বলা হয়েছিল অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করার কোনও দায় নেই তদন্তকারীর সংস্থার। বরং অপরাধীকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। এই দুটি নির্দেশই পুনরায় বিবেচনা করে দেখা হবে এদিন পুনর্বিবেচনা করা হবে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘এই দুটি প্রাথমিক বিষয়ের পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’
কেন্দ্রের তরফে এদিন মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি পিএমএলএ মামলায় সুপ্রিম রায়ের আগাগোড়া পুনর্বিবেচনার বিরোধিতা করেন। তিনি জানিয়েছেন নির্দিষ্ট এই দুটি বিষয়ে নোটিস জারি করা হোক। আবেদনকারীদের তরফে এই উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি সম্পূর্ণ রায়ের পুনর্বিবেচনার কথা বলেন। প্রসঙ্গত, পিএমএল এর অধীনে ইডির ক্ষমতাকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন বিরোধীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ইডির সব ক্ষমতা বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এবার দুটি বিষয় নিয়ে পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ইডি-র পর্যালোচনা থেকে ছাড় পেয়েছে ইডি-র বিশেষ কিছু অধিকার। এর মধ্যে রয়েছে কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার, বাজেয়াপ্ত ও তল্লাশি চালানোর ক্ষমতা। তদন্তের সময় কোনও অভিযুক্তের বিবৃতি আদালতে প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হয়। গত মাসে বিরোধীদের করা আবেদনের ভিত্তিতে এইসব ইডি-র ক্ষমতা বহাল রেখেছিল শীর্ষ আদালত। তবে আদালতের এই রায়ে ফের সরব হন বিরোধীরা। বিরোধীদের আবেদনের ভিত্তিতেই দুটি বিষয়ে রায় পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট।