AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bengaluru techie died: ৩৩ তলার বারান্দা থেকে সিগারেটের ছাই ফেলতে গিয়েই হল কাল!

Bengaluru: সকাল ৭টা নাগাদ দিব্যাংশু ঘুম থেকে উঠে পড়েন। তখন অন্য বন্ধুরা ঘুমোচ্ছিলেন। দিব্যাংশু যে ঘরে শুয়েছিলেন সেটা নিজেই পরিষ্কার করেন এবং তারপর সিগারেটের ছাই ফেলতে বা তাজা বাতাস নিতে ঝুলন্ত বারান্দায় বেরোন দিব্যাংশু। তারপরই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

Bengaluru techie died: ৩৩ তলার বারান্দা থেকে সিগারেটের ছাই ফেলতে গিয়েই হল কাল!
প্রতীকী ছবি।Image Credit: AP
| Updated on: Dec 31, 2023 | 8:25 PM
Share

বেঙ্গালুরু: বন্ধুদের সঙ্গে বর্ষশেষের পার্টি করতে মেতেছিলেন। কিন্তু, সেই পার্টি যে জীবনের শেষ পার্টি হবে, কেউ কল্পনা করেননি। সারারাত পার্টি করে, সিনেমা দেখে বন্ধুর ফ্ল্যাটে ঘুমোতে এসেছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার দিব্যাংশু শর্মা। ভোরের দিকে যখন বন্ধুরা সকলে ঘুমোচ্ছেন, তখন তিনি ঘুম থেকে উঠে ঝুলন্ত বারান্দা থেকে ঝুঁকে সিগারেটের ছাই ফেলতে যান। আর সেটাই কাল হল! টাল সামলাতে না পেরে ঝুলন্ত বারান্দা থেকে সোজা নীচে পড়ে যান ২৭ বছরের টেকি। তারপর যুবকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে।

পুলিশ জানায়, দিব্যাংশু শর্মা (২৭) আদতে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা দিব্যাংশুর বাবা চমন শর্মা বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। পরিবারের সঙ্গে তিনি বেঙ্গালুরুর হোরামাভুতে থাকেন। আর কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুর কেআরপুরম এলাকায় থাকতেন দিব্যাংশু। শুক্রবার ভোরে ওই এলাকাতেই বন্ধু মণিকার আবাসন, এক বহুতলের ৩৩ তলের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় দিব্যাংশুর। সিগারেটের ছাই ফেলতে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তিন বন্ধুর সঙ্গে হুল্লোড় করেন দিব্যাংশু শর্মা। সিনেমা দেখে, ইটানগরে পাবে হুল্লোড় করে রাত আড়াইটে নাগাদ সকলে মণিকার আবাসনে ফেরেন। আবাসনের ৩৩ তলে মণিকার ফ্ল্যাট ছিল। সেই ফ্ল্যাটে বন্ধুরা বেডরুমে শুলেও বাইরের ঘরে শুয়েছিলেন দিব্যাংশু। তারপর সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সকাল ৭টা নাগাদ দিব্যাংশু ঘুম থেকে উঠে পড়েন। তখন অন্য বন্ধুরা ঘুমোচ্ছিলেন। দিব্যাংশু যে ঘরে শুয়েছিলেন সেটা নিজেই পরিষ্কার করেন এবং তারপর সিগারেটের ছাই ফেলতে বা তাজা বাতাস নিতে ঝুলন্ত বারান্দায় বেরোন দিব্যাংশু। তখনই টাল সামলাতে না পেরে তিনি নীচে পড়ে যান। আবাসন চত্বরের মধ্যেই পড়েন দিব্যাংশু। সঙ্গে সঙ্গে আবাসনের অন্যান্যরা সকল বাসিন্দাকে খবর দেন। খবর পেয়ে মণিকা ঘুম থেকে উঠে নীচে যেতেই বন্ধুর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। এরপর দিব্যাংশুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি।