
এই সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় এক ভিডিয়ো ঘিরে। একটি ছোট মেয়ে পিঠে স্কুলের ভারী ব্যাগ। সে মাথায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে ভিড়ের রাস্তায় হেঁটে চলেছে। একটি টুইট হ্যান্ডেল থেকে একটি ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো। আর তার পরই প্রশ্ন উঠেছে, এই কি আমাদের ‘নতুন ভারত’? এই মেয়েটিকে নেটিজেনরা ‘সুপারগার্ল’ বলে আখ্যায়িত করছেন। কিন্তু এই ছবি দেখিয়ে দিচ্ছে সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্যের ক্ষতের দিকটা।
মেয়েটির পরনে স্কুলের পোশাক। পিঠে রয়েছে স্কুলের ব্যাগ। মাথায় একটা গ্যাস সিলিন্ডার। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে তার কোনও ক্লান্তি নেই। আর এটাই প্রমাণ করে যে এই কঠিন পরিশ্রমই ওই মেয়েটির নিত্যদিনের রুটিন। এই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে রাস্তা দিয়ে ওই মেয়েটি যাচ্ছে, সেখানে একটি দোকানে বড় বড় করে লেখা রয়েছে ‘লোন নিয়ে ফোন, ০ শতাংশ সুদ’। অর্থাৎ একদিকে কনজিউমারিজমের ছবি আর তার সামনে এই মেয়েটির হাড়ভাঙা পরিশ্রম। এটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় অর্থনীতির মাপকাঠিতে এগিয়ে থাকা মানুষ ও পিছিয়ে থাকা মানুষ একসঙ্গে এগিয়ে চলেছে। আসলে আমাদের সমাজে তারা সহাবস্থান করছে।
जिनको कंधो मे जिम्मेदारी होता है सब मोहमाया खत्म हो जाता है
चाहे लड़का हो या लड़की सबको अपना अपना घर का जिमेदारी निभाना पड़ता है pic.twitter.com/br3y0bgYZx
— dineshwar patel (@dineshwar_0673) December 7, 2025
দারিদ্রের কোনও বয়স নেই, এটা যেমন ঠিক। তেমনই এই মেয়েটিও হয়তও অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করছে যাতে আগামীকাল তাকে আর এই দারিদ্রতার মধ্যে কাটাতে না হয়।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, একদিনে যখন দেশের জিডিপি বাড়ছে। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তৈরি হচ্ছে তারই একেবারে বিপরীত পিঠ এটা। যেখানে শ্রমের উপর নির্ভর করে বাঁচতে হয় দেশের শিশুদের। তবে, এই মেয়েটির শক্তি ও আত্মবিশ্বাসকে কুর্নিশ জানাতেই হবে। এ ছাড়াও এমন শিশুদের জন্য যেন অবিলম্বে কঠোর থেকে কঠোরতম পদক্ষেপ করে প্রশাসন। সেটাও দেখতে হবে। প্রত্যেক মানুষকে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে এমন অর্থনৈতিক সুরক্ষার মধ্যে নিয়ে আসা উচিত যেখানে সেই সব পরিবারের শিশুদের কাঁধে যেন বইয়ের ব্যাগ ছাড়া আর কিছু না থাকে। এই সুপারগার্লের লড়াই যেন শুধু একটি ভিডিয়ো হয়েই না থাকে, এটি যেন হয় আমাদের ওয়েক আপ কল।