Attack on TMC in Tripura: ত্রিপুরায় চড়ছে ভোটের পারদ! ‘বাবুলকে হেনস্থা’, কলকাতায় ফিরে বললেন ফিরহাদ
Tripura: শনিবার ত্রিপুরার ইন্দ্রনগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের হয়ে প্রচারে যান ফিরহাদ হাকিম ও বাবুল সুপ্রিয়।
আগরতলা: পুরভোটের কাউন্ট ডাউন শুরু হতেই ক্রমশ চড়ছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক উত্তাপ। শনিবার আগরতলায় তৃণমূলের সভা ঘিরে অশান্তির অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। আগরতলা পুরনিগমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সভা ছিল মমতা-ব্রিগেডের। সেই সভারই মঞ্চ ভাঙা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দিয়ে সভাস্থলের আলো নেভানো হয় বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের তরফে দাবি, তাদের সভাস্থল থেকে সামান্য দূরে এদিন বিজেপি সভা করে। কিন্তু সেখানে দিব্যি আলো জ্বলছিল, মাইক চলছিল।
শনিবার রাতেই ত্রিপুরা থেকে কলকাতা ফেরেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ফিরহাদ বলেন, “আমি ছিলাম মিটিংয়ে। সেখানে লাইটের তার, মাইকের তার ছিঁড়ে দেওয়া হল। পাশে একটা ডিজে এনে বাজানো হল। হামলার সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে পুলিশকেও ধাক্কা মারে বিজেপির লোকজন। তার মধ্যেই বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয়।”
শনিবার ত্রিপুরার ইন্দ্রনগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের হয়ে প্রচারে যান ফিরহাদ হাকিম ও বাবুল সুপ্রিয়। সভাস্থলে তাঁদের ঘিরে ধরে একদল লোক। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামে পুলিশ, সিআরপিএফ। শনিবার সন্ধ্যায় একাধিক টুইটে বিজেপিকে নিশানা করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর টুইট, ‘আগরতলায় মারমুখী জনতার সামনে পড়েছিলাম। আমার গাড়িতে পাথর ছোড়া হয়।’ এই ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন বাবুল। পান্না দেবকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি জানান, তাঁর নাকে ইঁট ছুড়ে মারা হয়। তাতেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা গান্ধীবাদ, সুভাষবাদ, জিন্দাবাদ করে বড় হয়েছি। আমরা আক্রান্ত হতেই এসেছি। আমরা আক্রান্ত হব। যারা মারে তাদের থেকে যারা মার খায় তারা অনেক বেশি শক্তিশালী। গান্ধীজীও সারা জীবন আক্রান্ত হয়ে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করেছিলেন, আমরাও আক্রান্ত হয়ে বিজেপিকে ত্রিপুরা ছাড়া করব।”
Faced a violent mob of @BJP4India in #Agartala, abusing & Pelting Stones at me•Got down frm the car to confront them & cowards fled? It’s a joke/shame that BJP preaches against Political Violence given the filth I see them resort to in Tripura @AITCofficial @abhishekaitc
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) November 20, 2021
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেস এসেছে। সিপিআইএমের বিষদন্তনখ হয়ে। তারা এসে সে কাজগুলিই করছে। সিপিএম নিজে তো আর কিছু করতে পারে না। পশ্চিমবাংলার মন্ত্রী এসেছেন যিনি কলকাতার সর্বেসর্বা। তিনি এসে এ রাজ্যে বলছেন, পাঁচ মিনিটে ত্রিপুরার বিজেপি কর্মীদের শেষ করে দেবেন। এতেই তো ওনার ব্যক্তিগত চরিত্র বোঝা যায়। উনি মন্ত্রী! শুধু তাই নয় এখানে বলছেন, একটা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর যদি এখানে কিছু হয়, ওখানে বিজেপি কর্মীদের পাঁচটা লাশ ফেলে দেবেন। এই হচ্ছে তৃণমূলের চরিত্র। এই জন্যই বললাম বিষ দাঁত।”
আরও পড়ুন: রাতেই এসএসকেএমে মৃত্যু গুলিবিদ্ধ ক্যানিংয়ের যুব তৃণমূল সভাপতির