PK on Nitish Kumar: ‘দলের নেতৃত্ব দিতে বলেছিল, কিন্তু আমি…’, নীতীশ কুমারকে নিয়ে বিস্ফোরক প্রশান্ত কিশোর
নীতীশ কুমারের জেডিইউতে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত। তাঁকে সহ-সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁর সঙ্গে জেডিইউ-র সম্পর্কচ্ছেদ হয়।
পটনা: মঙ্গলবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। এদিন পিকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁকে নীতীশের জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডিইউকে নেতৃত্ব দেওয়া প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি তা নাকোচ করেছেন। সম্প্রতি বিহারে ‘জন সুরজ’ নামে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পদযাত্রার সূচনা করেছেন প্রশান্ত কিশোর। এই পদযাত্রা রাজ্যের প্রতিটি কোণায় গিয়ে পৌঁছবে। মঙ্গলবার বিহারের রাজধানী পটনা থেকে প্রায় ২৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পশ্চিম চম্পারণ থেকে নীতীশের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন পিকে।
“মুখ্যমন্ত্রীর গদি ধরে রাখতে পেরেছে নিজেকে অত্যন্ত চালাক বলে মনে করছেন নীতীশ। ২০১৪ সালে নির্বাচনে পরাজয়ের পর দিল্লিতে আমার সঙ্গে দেখা করে তিনি সাহায্য চেয়েছিলেন। ২০১৫ সালের মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে ক্ষমতায় আসতে আমি তাঁকে সাহায্য করেছিলাম। সেই চেয়ারে বসে তিনি আমাকে ‘জ্ঞান’ দেওয়ার সাহস পেয়েছেন।”
নীতীশ কুমারের জেডিইউতে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত। তাঁকে সহ-সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁর সঙ্গে জেডিইউ-র সম্পর্কচ্ছেদ হয়। সম্প্রতি পিকেকে কটাক্ষা করে নীতীশ বলেছিলেন ‘উনি বিহারের রাজনীতি ও যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কথা বলছেন, তার কিছুই বোঝেন না।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, এদিন নীতীশের কটাক্ষেরই জবাব দিলেন এই ভোট কুশলী। পিকে এদিন বলেন, “আমি একজন চিকিৎসকের সন্তান। গোটা দেশে নিজেকে প্রমাণ করার পর আমি নিজের রাজ্যের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি… বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল ১০-১৫ দিন আগে নীতীশ আমাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন এবং আমাকে জেডিইউকে নেতৃত্ব দেওয়া প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি সেই প্রস্তাবে রাজি হইনি, কারণ আমি নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে পিছনে সরে আসতে পারব না।”
যদিও জেডিইউ নেতৃত্বের তরফে প্রশান্তের মন্তব্য নিয়ে কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি জেডিইউ সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং পিকের সংস্থার আর্থিক জোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। “যাঁরা আমার অর্থের জোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, জেনে রাখা উচিত আমি তাদের মতো দালালির টাকা দিয়ে এই কাজ করছি। আমি অনুদান চাইছি এবং সেখান থেকে অর্থ জোগাড় করছি।”