নয়া দিল্লি: মার্চের শুরু থেকেই কাঠ-ফাটা গরমে হাসফাঁস করতে শুরু করেছেন দেশবাসী। একাধিক রাজ্যে শুরু হয়েছে তাপ প্রবাহ। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলতে চলেছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারত মহাসাগর ও পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর উপকূলে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। আগামী কয়েকদিনে এই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের ঘূর্ণিঝড় বিভাগের আনন্দ দাস বলেন, “ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। আগামী দু-তিনদিনও যদি এই নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়, তবে ঘূর্ণিঝড়ও আছড়ে পড়তে পারে। গোটা পরিস্থিতির দিকেই আমরা নজর রাখছি। মনে করা হচ্ছে, নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হতে পারে। তবে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।”
নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী ১৯ মার্চ অবধি আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী ১৮ ও ১৯ মার্চ বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দামান সাগরের উপর থেকে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের উপরে চলতি বছরের প্রথম নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। এর সরাসরি প্রভাব আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপরই পড়বে। ঝোড়ো হাওয়া সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ থেকে তৈরি হওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে অশনী। এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ হবে বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূল।
অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাপ প্রবাহের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। গুজরাটের একাধিক অংশ ও পশ্চিম রাজস্থানে তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজস্থান, বিদর্ভ, কোঙ্কন ও গোয়াতেও তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে। এরমধ্যে সৌরাষ্ট্র-কচ্ছে সপ্তাহ জুড়ে একাধিক তাপ প্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কোঙ্কন-গোয়াতেও তাপ প্রবাহ বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ সহ একাধিক জায়গাতেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি থাকবে।