AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Park Circus Accident: সাত সকালে ক্রেতার মাথায় ভেঙে পড়ল চাঙড়, হেলমেট পরেই যাচ্ছেন ক্রেতারা

Park Circus Accident: বাজারের বিক্রেতাদের দাবি, পুরসভায় বারবার খবর দেওয়া সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Park Circus Accident: সাত সকালে ক্রেতার মাথায় ভেঙে পড়ল চাঙড়, হেলমেট পরেই যাচ্ছেন ক্রেতারা
হেলমেট পরে বাজারে এলেন ক্রেতারা
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2022 | 11:50 AM
Share

কলকাতা : সাত সকালে ভরা বাজারে দুর্ঘটনা। ক্রেতার মাথায় ভেঙে পড়ল চাঙড়। রক্তাক্ত অবস্থায় সেই ক্রেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনে ফেরার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিপদজ্জনক অবস্থায় থাকা একটি বিল্ডিং থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ে এই বিপত্তি ঘটে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা থেকে ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, এই সমস্যা বেশ পুরনো। মাঝেমধ্যেই এমনভাবে চাঙড় ভেঙে পড়ে। তবে এমন দুর্ঘটনা এই প্রথম ঘটল। আতঙ্কে হেলমেট পরে বাজারে আসছেন ক্রেতারা। আহত ক্রেতার নাম বেলাল খান, তিনি পার্ক সার্কাসে ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আহত অবস্থায় তাঁকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বাজার করতে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। পাঁউরুটি কিনে ফেরার সময় তাঁর মাথায় পুরনো বিল্ডিং থেকে আচমকা চাঙড় ভেঙে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ দিন সকালে আচমকা তীব্র শব্দ শুনতে পান তাঁরা। তারপরই দেখেন ওই ব্যক্তি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছে আর রক্ত পড়ছে মাথা থেকে। এক ব্যবসায়ী জানান, প্রায়শই এমন ঘটনা ঘটে। প্লাস্টিক লাগানো আছে বাজারে। তার ওপরে খসে পড়ে ভাঙা অংশ। তবে এমন দুর্ঘটনা ঘটে যাবে, তা তাঁরা ভাবতে পারেননি। আর এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, একাধিকবার পুরসভায় খবর দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা এসেছেন, পরিদর্শনও করেছেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিল্ডিং মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এই ঘটনার পর মাথায় হেলমেট পরে বাজারে এসেছেন ক্রেতারা। এক ক্রেতা জানিয়েছেন, প্রথমে হেলমেট খুলেই বাজারে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। এরপর এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিনি। তাই হেলমেট পরেই ঘোরাফেরা করছেন বাজারে। ক্ষুব্ধ ওই ক্রেতা বলেন, চারপাশে এত উন্নয়ন হচ্ছে, আর বাজারে এমন অবস্থা। পুর কর্তৃপক্ষের তরফে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।