আগরতলা : ফের ত্রিপুরা (Tripura) যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরভোট। তার আগে ২৩ নভেম্বর সেখানে প্রচার শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর সেই ভোটে এবার অংশ নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। তাই প্রচার শেষ হওয়ার আগেই ফের একবার দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক। অন্যদিকে ওই একই দিনে ত্রিপুরাতেই থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সরকারি কর্মসূচি নিয়ে ত্রিপুরা যাচ্ছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে এক দিনের সফরে ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের কাজ সেরে ফিরবেন তিনি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ত্রিপুরা পৌঁছবেন ২১ নভেম্বর। পরের দিনও তিনি বেশ কিছু কাজ নিয়ে রাজধানী আগরতলায় থাকবেন। ফলে অভিষেক-অমিত শাহ দ্বৈরথের সাক্ষী থাকবে আগরতলা।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতেও ত্রিপুরা সফরে গিয়েছিলেন অভিষেক। বিপ্লব দেবের সরকারকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এসেছিলেন তিনি। সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, “গোয়ায় তিন মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার তৈরি হবে। ত্রিপুরায় মানুষের সমর্থন আমাদের দিকে। মানুষের ভালোবাসাকে পাথেয় করে, মমতার ছবি মাথায় নিয়ে ত্রিপুরায় ২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার প্রতিষ্ঠা করবে তৃণমূল”।
বিজেপি শাসিত রাজ্যে গিয়ে অভিষেক এও দাবি করেন, “তৃণমূল চাইলে এখনই একের পর এক বিজেপি বিধায়ককে দলে টানতে পারে, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তা করবে না। তাঁর কথায়, ‘আমার সঙ্গে সবার যোগাযোগ আছে। একটা সুইচ টিপলেই বিজেপি ভেঙে ১৫ জন বিধায়ক চলে আসবেন আমাদের দিকে। কিন্তু আমরা সেটা চাই না। ২০২৩ সালে বিজেপিকে উপড়ে ফেলাই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে আমরা সফল হবই।” এবার ফের সেই রাজ্যে যাচ্ছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরার আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য ৩ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েত – মোট ২০ টি পুর ও নগর সংস্থায় আসন রয়েছে ৩৩৪টি।
৩৩৪টি আসনের জন্য মোট ৮২৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিজেপি থেকে ৩৩৬, তৃণমূলের ১২৫, সিপিএম ২১৪, সিপিআই ৬, আরএসপি ২, ফরওয়ার্ড ব্লক ৫, কংগ্রেস ১০১, নির্দল ৩২ এবং অন্যান্য ৮ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এদিকে শান্তিরবাজার, উদয়পুর, বিশালগড়, মোহনপুর ও রানির বাজার পুর পরিষদে একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বামেরা। একইসঙ্গে জিরানিয়া ও কমলপুর নগর পঞ্চায়েতেও প্রাথী দিতে পারেনি না তারা। জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতে ১১টি আসনের মধ্যে মাত্র ১ টি অন্যরা প্রার্থী দিয়েছে। আর শান্তিরবাজার পুর পরিষদে ১৫টির মধ্যে ৬টিতে নির্দল প্রাথী দিয়েছে। বাকিগুলিতে একটিতেও বিরোধীরা মনোননয়ন দিতে পারেনি।