Humayun Kabir: ‘ওয়েইসির একটা আলাদাই ক্যারিশ্মা রয়েছে’, হঠাৎ ‘মিমে’র প্রশংসায় ডেবরার হুমায়ুন কবীর
Debra MLA Humayun Kabir: কথা হচ্ছিল ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুনের নিজস্ব দল গড়ার প্রসঙ্গ নিয়ে। ডেবরার বিধায়ককে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি এখন মুসলিমরাই আরও বেশি করে বঙ্গ রাজনীতিতে অতি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে নিজস্ব দল গড়ছেন? কেবল মুসলমানদের নিজস্ব দল, এই বিষয়টাকে তিনি কীভাবে দেখেন?

কলকাতা: একটা নিজস্ব ক্যারিশ্মা রয়েছে তাঁর। আসাউদ্দিন ওয়েইসি-র প্রশংসায় হুমায়ুন কবীর। নাহ, এই হুমায়ুন কবীর তাঁর সঙ্গে জোট বাঁধতে আগ্রহী, বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন দলের প্রতিষ্ঠাতা সদ্য তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডেড ভরতপুরের হুমায়ুন কবীরের নয়। বরং ডেবরায় বিধায়ক প্রাক্তন আইপিএস কর্তা হুমায়ুন কবীরের। আসাউদ্দিন ওয়েইসের যে রাজনীতিতে নিজস্ব একটা ম্যাজিক রয়েছে, তা TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নিজেই বললেন তিনি।
কথা হচ্ছিল ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুনের নিজস্ব দল গড়ার প্রসঙ্গ নিয়ে। ডেবরার বিধায়ককে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি এখন মুসলিমরাই আরও বেশি করে বঙ্গ রাজনীতিতে অতি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে নিজস্ব দল গড়ছেন? কেবল মুসলমানদের নিজস্ব দল, এই বিষয়টাকে তিনি কীভাবে দেখেন? সেটা তৈরি হলে কি বর্তমান রাজনীতিতে নতুন করে কোনও মেরুকরণ তৈরি হবে? উত্তরে ডেবরায় বিধায়ক বলেন, “এর আগে মুসলিম লিগ ছিল। যেমন কেরলে এখনও মুসলিম লিগ রয়েছে। সেটা সাফল্য পেয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী পর্যায়ে সেভাবে মুসলিমদের দল দাগ কাটতে পারেনি।” এই প্রসঙ্গেই আসে মিমের প্রসঙ্গ।
ডেবরায় বিধায়ক বলেন, “মিম খানিকটা সাফল্য পেয়েছে। কারণ আসাউদ্দিন ওয়েইসিকে আমি দেখেছি, ওনার বক্তৃতা আমি শুনেছি। উনি আদ্যোপ্রান্ত একজন ডেমোক্রেটিক পার্সন। ওটা একটা আদ্যোপ্রান্ত মুসলিম অর্গানাইজেশন। ওয়েইসি ভাল বক্তব্য রাখেন। তাঁর একটা ক্যারিশ্মা রয়েছে। তিনি কিন্তু অনেকদিন ধরে পার্টিটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, বঙ্গের ভোটে ঘর গোছানোর কাজ আগেই শুরু করেছিল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল। মালদহে এসেছেন মিমের নেতারা। যোগদান পর্বও চলছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সারছেন প্রচারও। এরই মধ্যে আবার মিমের সঙ্গে কথা হয়েছে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। তিনিও আবার মিমের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী। রাজ্যে বিভিন্ন ছোট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি এ বার ভোটে লড়াই করার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ‘মিম’। বিহারের রাজনীতিতেও বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে মিম। পাঁচটি আসন পেয়েছে। বরং সে অর্থে দাগ কাটতে পারেনি পিকে-র টিম।আর এই গোটাটার কৃতিত্বই ওয়েইসি-কে দিচ্ছেন ডেবরায় বিধায়ক।
তবে এ প্রসঙ্গে ডেবরায় বিধায়ক আবার আইএসএফের কথাও বলেছেন। কিন্তু তাঁর মতে, ” আইএসএফ সেকুলার দল। আইএসএফের মধ্যে দুজন রয়েছেন, যাঁরা অগণতান্ত্রিক কথাবার্তা বলেন।” ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর অবশ্য স্পষ্টই করেছেন, তিনি সেকুলার দল গড়বেন। আর সেক্ষেত্রে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি, মিমের পাশাপাশি ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ জাতীয় কংগ্রেস, আইএসএফের কথাও বলেছেন। তবে তাঁর দল বঙ্গ রাজনীতিতে ঠিক কতটা প্রভাব ফেলবে? নাকি ডেবরায় বিধায়কের কথায় ‘বুদবুদের মতো মিলিয়ে যাবে’, সেটার দেখার।
