Beleghata: ‘এইভাবেই মরে যাব…’, বলতে বলতে হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন তৃণমূল কর্মীর মা, খাস কলকাতায় আতঙ্কে গোটা পরিবার
Beleghata: অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও ভয় কাটছে না পরিবারের। বাপি দাসের মা সোমবার সন্ধ্যার সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।

কলকাতা: বাপি দাস বাড়ি ছিল না, তাই বাপির মা ও ভাইয়ের শরীরে ধারাল অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূলকর্মীর পরিবার যেভাবে আক্রান্ত হয়েছে, তা ভয়ঙ্কর। ভাই সুময় দাস ও মা শিবানী দাসের আতঙ্ক কাটছে না। এমনকী মৃত্যুভয়ে কেঁদে ফেলছেন বৃদ্ধা মা। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার বেলেঘাটা থানা এলাকার রাসমণি বাজার রোডে বাপি দাসের বাড়িতে চড়া হয় এক দুষ্কৃতী। মা এবং ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে সৌরভ দাস নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী রাজু নস্করের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি বাপির পরিবারের। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে আরও একবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসকর্মী বাপি দাসকে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজু নস্কর ও তাঁর লোকজন বাড়ি খালি করার জন্য হুমকি দিচ্ছিল। বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। তবে কেন, বাড়ি খালি করার কথা বলা হচ্ছিল, তা স্পষ্ট নয়।
অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও ভয় কাটছে না পরিবারের। বাপি দাসের মা সোমবার সন্ধ্যার সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, “হঠাৎ কথা বলতে বলতে গলায় কোপ মারতে এল। থানা থেকে ছেড়ে দিলে ও আবার মারতে আসবে। এইভাবেই মরে যাব।” এ কথা বলে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা শিবানী দাস।
উল্লেখ্য, বাপি দাস ও রাজু নস্কর- দুজনেই বিধায়ক পরেশ পালের সঙ্গে কাজ করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে বাপি দাসের দাবি, সম্প্রতি রাজু এমন কিছু কারবারে জড়িয়ে পড়েন, যার জন্য তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। তবে এই হামলার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।





