AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Viral Audio Clip: ১ লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে প্রার্থী টিকিট, ভাইরাল বিজেপি যুবনেতার কল রেকর্ড!

BJP: ফাঁস হওয়া অডিয়ো ক্লিপটিকে 'চক্রান্ত' বলেই দাবি করলেন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি শঙ্কর শিকদার।

Viral Audio Clip: ১ লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে প্রার্থী টিকিট, ভাইরাল বিজেপি যুবনেতার কল রেকর্ড!
ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2021 | 4:22 PM
Share

কলকাতা: আর মাত্র এক মাস। আগামী মাসেই রাজ্যে পুরনির্বাচন। তারআগেই ফাঁস হল বিজেপি যুব নেতার চাঞ্চল্যকর কলরেকর্ড! সেই কলরেকর্ডে শোনা যাচ্ছে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে। এক পক্ষ টিকিট প্রার্থী। অন্যজন বিজেপির যুবনেতা প্রীতম সরকার বলে অভিযোগ। যদিও সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি  TV9 বাংলা। অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি  সভাপতি শঙ্কর শিকদারের জ্ঞাতসারে এই কথোপকথন হয়েছে। যদিও, পুরোপুরি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি (BJP)। পাল্টা শাসক শিবিরের (TMC) দাবি,  এই অডিয়ো ক্লিপ সামনে আসতেই অভিযোগ অস্বীকার করছে বিজেপি।

ঠিক কী শোনা গিয়েছে অডিয়ো ক্লিপে? ভাইরাল হওয়া ওই অডিয়ো ক্লিপে শোনা গিয়েছে, দুই ব্যক্তির কথোপকথন। অভিযোগ, ওই দুই কণ্ঠস্বরের একটি বিজেপি যুব নেতা প্রীতম সরকারের। অভিযোগ, বিজেপি যুব নেতা বলে দাবি করা ওই কণ্ঠস্বরে শোনা যাচ্ছে, একজন টিকিট প্রার্থীকে বলা হচ্ছে, “প্রতি ক্যান্ডিটেড ১ লাখ টাকা করে অন্তত দাও”, আরও বলা হচ্ছে, “একদম হবে। এবং সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে জেতানোর যতরকম চেষ্টা, সব করা হবে।” পাশাপাশি, টিকিট প্রার্থীর প্রশ্নের উত্তর দিতেও শোনা গিয়েছে। তবে ওই টিকিট প্রার্থী কে তা জানা যায়নি। অডিয়োটির সত্যতা যদিও যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

এদিকে ফাঁস হওয়া অডিয়ো ক্লিপটিকে ‘চক্রান্ত’ বলেই দাবি করলেন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি শঙ্কর শিকদার। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে আমাকে নিয়ে একটা ফ্লেক্স বানিয়েও এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। একটা চক্রান্ত করা হচ্ছে। আজ আবার সেই অডিয়ো এল। এরকম প্রীতম সরকারের মতো কত কত প্রীতম সরকার কার্যকর্তা আমার পাশে ঘুরে বেড়ায়। কে কীভাবে কথা বলবে তার দায়িত্ব তো আমি নিয়ে রাখিনি।আমি এরকম ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই। আমি নিজে এই ধরনের ঘটনার বিরোধী। কেউ যদি এইধরনের কোনও মন্তব্য করে থাকেন, তবে তাঁর উপযুুুক্ত শাস্তি হবে। ”

এখানেই না থেমে শঙ্কর আর বলেন, “যারা মনে করছে বিজেপি পুরভোটে ভাল ফল করবে, তারাই চক্রান্ত করে এই কাজ করেছে। নির্বাচনের আগে যাতে বিজেপির অন্দরে একটা কানাঘুষো তৈরি হয়, তার জন্য এই চক্রান্ত করা হয়েছে। আমাদের বিরোধী দলের নেতারাই কেউ না কেউ করেছে। যাঁরা এটা করছেন তাঁরা বিজেপির ভাল চায় না বলে এই কাজ করেছেন।”

অন্যদিকে, অভিযুক্ত বিজেপি যুব নেতা প্রীতম সরকার বলেন, “গতকাল রাত্রে আমার কাছে অডিয়ো ক্লিপটি আসে। আমার ছবি  ব্যবহার করে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আমাদের কালিমালিপ্ত করার জন্য এটা করেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। কে করেছে জানা নেই। কিছুদিন আগেও আমাদের জেলা সভাপতির নামে এই ধরনের রাতের অন্ধকারে ফ্লেক্স দেওয়া হয়েছে। আমরা আইনের পথেই হাঁটব।”

বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য যদিও জানিয়েছেন, প্রীতম সরকার নামে এই জনৈক নেতা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। তার আগে তিনি বিজেপিতে ছিলেন না। ছবিটি প্রীতমের হলেও কণ্ঠস্বরটিও তাঁর কি না তা স্পষ্ট নয় বলেই দাবি শমীকের।

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ভাইরাল ভিডিয়োটি টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, পুরসভা নির্বাচনের আগে কী করে প্রার্থী কেনা হচ্ছা বিজেপির পক্ষ থেকে। ঘটনায়, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “তথাগত রায় নিজেই তো টাকার খেলার কথা বলেছেন। এতে আর নতুন কী রয়েছে। বিজেপি যে টাকা দিয়ে প্রার্থী কেনে এই কথা তো দলের নেতাই বলেছেন।”

কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “অমৃত গাছ তো আর পোঁতা হয়নি, যে অমৃত ফল ফলবে। বাবলা গাছ পোঁতা হয়েছে, তাই বাবলা গাছই ফলবে। জেলা সভাপতি যা বলে, দলের লোক তাই করে। বিজেপি এ বার নিজে বুঝুক, কোথায় তাদের সততা!”

কিন্তু, আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ বিজেপির অন্দর থেকে উঠে এসেছে। যে লেনদেনের অভিযোগ করেছিলেন খোদ তথাগত রায়। এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা রয়েছে কি না তা হয়ত স্পষ্ট নয়, কিন্তু নির্বাচনের আগে এমন অডিয়ো ক্লিপ যে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়াবে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

ভাইরাল হওয়া অডিয়ো ক্লিপটি একটি কথোপকথনের আকারে তুলে দেওয়া হল

বিজেপি নেতার ‘কণ্ঠস্বর’: আজ ৯টা ১৫ থেকে সুকান্তদার সঙ্গে আমাদের মিটিং আছে। ওখানে প্রস্তাবটা তুলব।ওখানে…জেলা সভাপতিও থাকবে আমার সঙ্গে। বাজেট কী একটা প্ল্যানিং করেছো, সেটা কি তোমাদের কথা হয়েছে?

টিকিট প্রত্যাশীর ‘কণ্ঠস্বর’: আমরা ১২ খানা প্রার্থী চাইছি। এবার তোমরা সেখানটাতে কত কী বলছ, সেটা বল আমাকে ঠিকঠাক করে। দেখো ঠিকঠাক বল। আমি তোমাকে আগেই বলেছি, আমাদের অত ক্যাপাসিটি নেই।

বিজেপি নেতার ‘কণ্ঠস্বর’: ক্যাপাসিটি নেই…দেখো…কী বল তো?

টিকিট প্রত্যাশীর ‘কণ্ঠস্বর’: তাও একটা মোটামুটি আন্দাজে বলো না। আন্দাজ করে বল। কিন্তু দেখো প্লিজ, ওমনি বললে আমরা পারবই না তাহলে। এমন কিছু বললে পারব না। দেখো, সত্যি কথা আগে থেকে বলে দেওয়া উচিত। সম্পর্ক আগে। ঠিক আছে।

বিজেপি নেতার ‘কণ্ঠস্বর’: সে তো বটেই।

বিজেপি নেতার ‘কণ্ঠস্বর’: ১২ টা হবে কি না জানি না। প্রতি ক্যান্ডিটেড ১ লাখ টাকা করে অন্তত দাও।

টিকিট প্রত্যাশীর ‘কণ্ঠস্বর’: প্রতি ক্যান্ডিডেট ১ লাখ টাকা চাপের হয়ে যাবে। একটু তুমি অ্যাডজাস্ট করে কথা বল না। কথা বল।

বিজেপি নেতার ‘কণ্ঠস্বর’: সুকান্ত মজুমদারকে আমাকে কনভিন্স করতে হবে। আমার কী আছে? আমার তো কোনও ব্যাপারই নেই। আমার বন্ডিংসের ব্যাপার আছে। আর তো কিছু নেই।

টিকিট প্রত্যাশীর ‘কণ্ঠস্বর’: আচ্ছা। আমার সিটটা কি ভাল সিট হতে পারে কি?

বিজেপি নেতার ‘কণ্ঠস্বর’: হতে পারে না, একদম হবে। এবং সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে জেতানোর যতরকম চেষ্টা, সব করা হবে।

টিকিট প্রত্যাশীর ‘কণ্ঠস্বর’: দেখো শঙ্করদা…আমি চাই শঙ্করদা এবং তুমি যেন আমাকে সাপোর্ট দাও। যেহেতু শঙ্করদা জেলা সভাপতি। ঠিক আছে? সেই সাপোর্টটা না পেলে কিন্তু আমি পারব না। প্লাস তুমি যাদের সঙ্গে বলছ, যেটা সেটিং করে…

বিজেপি নেতার ‘কণ্ঠস্বর’: তৃণমূলের অন্তঃ…গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে, এগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের বেহালাতে যেমন ১২১ নম্বর ওয়ার্ডটা খুব ফারটাইল (ভাল) চান্স। ১১৯ নম্বর ওয়ার্ড ফারটাইল চান্স। ১২৪, ১২৭, ১২৮, ১২৬….১২৬ এ আমি প্রার্থী হচ্ছি…এই ওয়ার্ডগুলো খুব ফারটাইল ওয়ার্ড…

দেখুন ভিডিয়ো:

আরও পড়ুন: আগামী মাসেই বঙ্গ সফরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব