Baishakhi Banerjee: ‘বাড়ি থেকে যা যা বেরিয়েছে, ওই খেলনা ট্যেলনা, ভাগ্নী ছিল তো…’, পার্থর সঙ্গে শোভনের তফাৎ বোঝালেন বৈশাখী

Baishakhi Banerjee On Partha Chatterjee: বললেন, "একটা জিনিস ভাল লেগেছে। উনি গ্যারান্টি দিয়ে বলেছেন, ছিল আছে থাকবে অর্পিতা।এই থাকবেটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগেও ছিল-তে অনেকে ছিল। বর্তমানে আছে, এটাও বড় জিনিস, কারণ জেল ফেরত মানুষের বান্ধবী থাকাটা তো বড় ব্যাপার। আর সবথেকে বড় ব্যাপার, ভবিষ্যতে ওই থাকবে। এর থেকে বড় প্রাপ্তির কী হতে পারে।"

Baishakhi Banerjee: বাড়ি থেকে যা যা বেরিয়েছে, ওই খেলনা ট্যেলনা, ভাগ্নী ছিল তো..., পার্থর সঙ্গে শোভনের তফাৎ বোঝালেন বৈশাখী
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 14, 2025 | 10:21 PM

কলকাতা: সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একেবারে খোলােমেলা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বান্ধবী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে নিজেও সোজাসাপটা কথা বলেছেন। তিনি স্বীকারও করেছেন তাঁদের সম্পর্কের কথা, আর সেই কথা পৃষ্ঠেই বলেছেন বান্ধবী থাকতেই পারে। উদাহরণও দিয়েছেন শোভন-বৈশাখীর। আর তাতেই আবার নতুন করে বিতর্ক। এই নিয়ে এবার পাল্টা মুখ খুলেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বোঝালেন  পার্থ আর শোভনের মধ্যে কোনও সূক্ষ্ম তফাৎ। আর সেটা বলতে গিয়েই বোঝালেন সম্পর্কের সমীকরণ।

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রথমে সংবাদমাধ্যমের সামনে অর্পিতাকে চিনতেই অস্বীকার করেছিলেন। পরে বিতর্কের মাঝেই তাঁকে পরিচয় দিয়েছিলেন ভাগ্নি হিসাবে। সে প্রসঙ্গেই বৈশাখী খোঁচা দিয়ে বললেন, “একটা সময়ে দেখলাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে কী সম্পর্ক! নাকি মামা-ভাগ্নি। সেটা পরবর্তীকালে সংবাদমাধ্যমের সামনে পার্থ অর্পিতাকে চিনতেই অস্বীকার করলেন। জেলে থাকাকালীন। আজ সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে উনি নিজেকে সংশোধন করেছেন, ওনার সুপ্ত পৌরুষ জেগে উঠেছে। উনি বুঝেছেন বান্ধবীকে সোচ্চারে পরিচিতি দেওয়াটা উচিত।”

জেলমুক্তির পর পার্থ খোলামেলাভাবেই অর্পিতার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। এবং সে সম্পর্ক চিরস্থায়ী হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। বৈশাখী এই বিষয়টাকে সাধুবাদই জানিয়েছেন। বললেন, “একটা জিনিস ভাল লেগেছে। উনি গ্যারান্টি দিয়ে বলেছেন, ছিল আছে থাকবে অর্পিতা।এই থাকবেটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগেও ছিল-তে অনেকে ছিল। বর্তমানে আছে, এটাও বড় জিনিস, কারণ জেল ফেরত মানুষের বান্ধবী থাকাটা তো বড় ব্যাপার। আর সবথেকে বড় ব্যাপার, ভবিষ্যতে ওই থাকবে। এর থেকে বড় প্রাপ্তির কী হতে পারে।” আর এর সঙ্গে অবশ্য খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তিনি। তাঁর কথায়, ” মানুষ তো আজ বলতে পারছে না, চাকরি ছিল আছে থাকবে! ওনার ব্যক্তিগত জীবনে স্থায়ী ব্যাপার হয়েছে, এই বন্ডটা পছন্দ করছি।”

একটা সময়ে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সদ্ভাবই ছিল। এই অম্ল-মধুর সম্পর্কে হঠাৎ কেন তিক্ততা? কেনই বা জেল থেকে ফিরেই শোভন-বৈশাখীর সম্পর্ক নিয়ে খোঁচা পার্থর? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই বোঝালেন পার্থর বান্ধবী সঙ্গে শোভনের বান্ধবী অর্থাৎ তাঁর তফাৎটা কোথায়?

বৈশাখী বলেন, “এই শোভনের সঙ্গে ওনার একটা সুন্দর অমিল রয়েছে। শোভনের বান্ধবীর বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা, যে টাকা দেশের অর্থনীতিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে, যা স্বাধীনতা উত্তর ভারতের মানুষ কেন, কখনও ভারতের মানুষ একসঙ্গে দেখেছে কিনা, বলা যাবে না। তার সঙ্গে ওতো গয়না। আবার খেলনা-টালনা। ভাগ্নি তো! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর বাড়ি থেকে যা যা বেরিয়েছে, সেটা শোভনের বান্ধবীর বাড়ি থেকে বেরোয়নি। না বেরোক, এটাই চাই।  যদি বান্ধবী আমি হই।”

আর সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দিলেন, এই সম্পর্কের জন্য শোভন আদতে কী কী আত্মত্যাগ করেছেন, নিজের পদ ছেড়েছেন, আর বৈশাখীর কথায়, পার্থ পদ ব্যবহার করেছেন, বান্ধবীর বাড়িতে টাকা জমা করার জন্য।