Baisakhi on Partha: ‘ভাগ্নীকে এখন বান্ধবী বলে পরিচয় দিচ্ছেন’, পার্থকে ‘সংগ্রামী অভিনন্দন’ বৈশাখীর
Partha Chatterjee: সম্প্রতি, আবারও সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছেন পার্থ। ফের শুরু হয়েছে তাঁদের নিয়ে চর্চা। তবে আজ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, যাঁর বৌ আছে…তার দুটো থাকতে পারে। আর আমার বৌ নেই একটা বান্ধবী থাকতে পারে না? আমি সদর্পে বলছি।” এখানেই থেমে থাকেননি নাম নিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। আজ পার্থরই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা মন্তব্য করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা: অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এদের দুজনের মধ্যে কী সম্পর্ক? এই নিয়ে কম চর্চা হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বরাবরই অর্পিতাকে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলেছেন। এমনকী, শান্তিনিকেতনে বানিয়েছেন বাংলো। যার নাম দুজনের নামে আদ্যঅক্ষর দিয়ে রেখেছেন ‘অপা’। সম্প্রতি, আবারও সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছেন পার্থ। ফের শুরু হয়েছে তাঁদের নিয়ে চর্চা। তবে আজ অর্থাৎ বুধবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, “যাঁর বৌ আছে…তার দুটো থাকতে পারে। আর আমার বৌ নেই একটা বান্ধবী থাকতে পারে না? আমি সদর্পে বলছি।” এখানেই থেমে থাকেননি, নাম নিয়েছেন সদ্য দলে ফেরা শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। আজ পার্থরই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা মন্তব্য করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এ দিন, পার্থ সংবাদ মাধ্যমকে পরিষ্কার বলেছেন, “অর্পিতা আমার বান্ধবী তাতে অসুবিধা কী আছে? শোভন-বৈশাখীকে যদি আপনারা (সংবাদ-মাধ্যম) দেখাতে পারেন তাহলে…” এর উত্তরেই বৈশাখী টিভি ৯ বাংলাকে বলেন, “উনি জেল থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে সৎ বলছেন। মামা-ভাগ্নীকে এখন বান্ধবী বলে পরিচয় দিচ্ছেন এটা ভাল লাগছে জেনে। কারণ, এলআইসি-তে অর্পিতাকে ভাগ্নী বলে লিখেছিলেন।” প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন জেলবন্দি ছিলেন সেই সময় কলকাতা হাইকোর্ট একবার তাঁর জামিন সংক্রান্ত মামলায় জানতে চায় পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক। সেই সময় অর্পিতার আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, অর্পিতা এলাইসিতে পার্থকে ‘আঙ্কেল’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ দিন এই বিষয়টিকেই উল্লেখ করলেন বৈশাখী।
শুধু তাই নয়, ঘুরিয়ে জানান, স্ত্রী বেঁচে থাকাকালীনই পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক ছিল। বৈশাখী বলেন, “অপা, ইচ্ছেডানা এইগুলো তৈরির এই সব তৈরির সালগুলি দেখলে বোঝা যাবে ওঁর স্ত্রী বেঁচে ছিলেন নাকি ছিলেন না। সেই সময় ভয়ে মামা বলে পরিচয় দিয়েছেন ভয়ে বলতে পারেননি। আজকে খোলস ছেড়ে বেরিয়েছে। তাই ওঁর এত স্বাধীন মনোভাবের জন্য সংগ্রামী অভিনন্দন।”
এখানে উল্লেখ্য,পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে কম তোলপাড় হয়নি। সংবাদ-মাধ্যম থেকে সমাজ মাধ্যম অনেকেই অনেক কথা বলেছিলেন। এরপর জেল থেকে ফেরত এসে যখন পার্থ কোনও রাখঢাক না রেখে একদম স্বীকার করলেন তাঁদের সম্পর্কের কথা ও দলের অন্য জুটি শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করলেন, তখনই বিতর্ক আরও মাথাচাড়া দিল। এক সময় বৈশাখী কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। সেই সময় পার্থ ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁদের যথেষ্ট সুসম্পর্ক ছিল। এমনকী, বৈশাখী যখন কলেজে পড়াতেন, তখন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সময়ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। সেই খবরও সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছিল। তারপর বৈশাখী চাকরিতে ইস্তফা দেন। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এইসব ঘটনাপ্রবাহের (শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ, গ্রেফতারি) পর আজ যখন পার্থবাবু এই ধরনের প্রশ্নের উত্তরে অর্পিতার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক স্বীকার করেন এবং পাল্টা দলে ফিরে আসা শোভন-বৈশাখীর কথা উল্লেখ করেন, সেই আবহে বৈশাখীর এ দিনের সংগ্রামী অভিনন্দন তাৎপর্যপূর্ণ কটাক্ষ তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি।
