Beleghata: মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বছরও ঘোরেনি…এরই মধ্যে সরস্বতী পুজোর রাতেই কিনা মেয়ে…শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসতেই বাজ ভেঙে পড়ল বাবার মাথায়
Beleghata: মৃতার পরিবারের দাবি, সাত মাস আগে বেলেঘাটার বাসিন্দা দিবাকর ধরের সঙ্গে বিয়ে হয় তুলিকার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মাঝে মাঝেই স্ত্রীর কাছে টাকা চেয়ে অত্যাচার শুরু করেন দিবাকর। মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে বলেছিলেন তুলিকা।

কলকাতা: মাত্র মাস সাতেক হয়েছে বিয়ের। এরই মধ্যে হঠাৎ করে সরস্বতী পুজোর সকালে বাড়িতে আসে ফোন! এক মুহূর্তে গোটা পরিবারে যেন অন্ধকার নেমে আসে। শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয়, ‘মেয়ের মৃত্যু হয়েছে…’ হঠাৎ করেই কীভাবে মেয়ের মৃত্যু, তা ভাবতেও পারছিলেন না মেয়ের বাড়ির লোক। মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, খাটের ওপরে পড়ে রয়েছে মেয়ের শরীর। গলায় ওড়নার ফাঁস। বেলেঘাটার মিঞা বাগানে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য। পরিবারের অভিযোগ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। খুন নাকি আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহবধূ! তদন্তে বেলেঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তুলিকা ধর।
মৃতার পরিবারের দাবি, সাত মাস আগে বেলেঘাটার বাসিন্দা দিবাকর ধরের সঙ্গে বিয়ে হয় তুলিকার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মাঝে মাঝেই স্ত্রীর কাছে টাকা চেয়ে অত্যাচার শুরু করেন দিবাকর। মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে বলেছিলেন তুলিকা। কিন্তু নতুন বিয়েতে প্রথমে সমস্যা হয় বলে বুঝিয়ে আবার ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বাপের বাড়ির সদস্যরা। কখনও আর তাই অশান্তির কথা জানাননি তুলিকা। আর সমস্যা সেখানেই। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে বাড়তে থাকে অত্যাচার। এরই মধ্যে দিবাকর বিবাহ বহির্ভূত একটি সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন বলে দাবি পরিবারের। তাতে তুলিকা বাধা দেওয়ায় আরও অশান্তি বাড়ে।
এরপরই সরস্বতী পুজোর রাতে আসে ফোন। তুলিকার পরিবারের দাবি, সোমবার রাতে দিবাকরের বাড়ির লোক ফোন করে জানান তুলিকা আত্মহত্যা করেছেন।পরিবারের দাবি, তাঁরা পৌঁছে দেখতে পান গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় খাটে শোয়ানো তুলিকার নিথর দেহ। ইতিমধ্যেই দিবাকর ধরকে আটক করেছে বেলেঘাটা থানার পুলিশ।





