বাঁধ নির্মাণে ১০০ দিনের কর্মীদের কাজে লাগাতে চান সুব্রত, শনিবাসরীয় আড্ডা জমল ‘এভারগ্রিনে’

শুক্রবার জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন পঞ্চায়েত দফতরের জনাকয়েক আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনার পরই শনিবারই বেশ কিছু জরুরি পরিকল্পনা করেন সুব্রত।

বাঁধ নির্মাণে ১০০ দিনের কর্মীদের কাজে লাগাতে চান সুব্রত, শনিবাসরীয় আড্ডা জমল 'এভারগ্রিনে'
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 29, 2021 | 5:19 PM

কলকাতা: নারদ মামলায় হাইকোর্টের উচ্চতর অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ার পরই দফতরের কাজে নেমে পড়লেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে ১৩০-টির বেশি বাঁধ বিপর্যস্ত হওয়ার ফলে দুই জেলার কয়েকশো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তা পুনর্নির্মাণ করতে এ বার ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের রাজ্য কাজে লাগাতে চান তিনি।

সপ্তাহান্তেই পুরোদমে কাজে নেমে পড়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। আদালতে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেও আপাতত রয়েছেন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মেজাজে। শনিবার থেকে কার্যত ঘরে বসেই পঞ্চায়েত দফতরের কাজ শুরু করেছেন মন্ত্রী সুব্রত। শুক্রবার জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন পঞ্চায়েত দফতরের জনাকয়েক আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনার পরই শনিবারই বেশ কিছু জরুরি পরিকল্পনা করেন সুব্রত।

আপাতত ইয়াসের ধ্বংসলীলা ও তার সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই পঞ্চায়েতের কাজ সাজাচ্ছেন মন্ত্রী। অবিলম্বে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বেশ কয়েকটি কাজের সুপারিশ জমা দিতে চলেছেন মন্ত্রী। দেখে নিন কী কী কাজের পরামর্শ রয়েছে সেই তালিকায়।

১. নদী বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারে ১০০ দিনের কর্মীদের কাজে লাগানো হোক

২. ঝড়ে বহু গাছ পড়ে গিয়েছে। অভয়ারণ্য ক্ষতি হয়েছে। এক্ষেত্রে বন দফতরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ১ লক্ষেরও বেশি গাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা।

৩. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে বাড়ি নির্মাণ করা।

সূত্রের খবর, এই পরিকল্পনাগুলো কেই প্রস্তাব আকারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে। আগামী সোমবার পঞ্চায়েত দফতরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ‘নোংরা খেলা খেলবেন না’, আলাপনের বদলি রুখতে করজোড়ে প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন মমতার

অন্যদিকে, গৃহবন্দি দশা কেটে যাওয়ায় পর শনিবার সকাল থেকেই পুরনো মেজাজে পাওয়া যায় সুব্রতবাবুকে। সাত সকালে গড়িয়াহাটের এক কালী মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন তিনি। এরপর একে একে এলাকার কর্মীরা আসতে শুরু করেন বাড়ির বাইরে। এরপরই সুব্রতবাবুর ক্লাব ‘একডালিয়া এভারগ্রিনে’ পুরনো আড্ডায় মাতেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। যেন বেশ কিছুদিনের বিরতির পর ফিরে পান পুরনো ছন্দে।

প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার এবং এসএসকেএম হাসপাতালে থাকাকালীন সরকারি চিকিৎসারও ভূয়সী প্রশংসা করেন সুব্রত। যা শুনে এক অনুগামীর সরস মন্তব্য, “এই জন্যই আপনাকে খুব ফ্রেশ লাগছে, ভাল লাগছে দেখতে।” ভাইদের মুখে এই মন্তব্য শুনে ঠোঁট চেপে এক লাজুক হাসি হাসলেন ‘দাদা’। তারপরই সবার উদ্দ্যেশে বললেন “নে নে চা খা”।

আরও পড়ুন: ‘পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে বললে তাই করব’, কাল ঠিক কী হয়েছিল ব্যাখ্যা দিলেন মমতা