BGBS 2025: ‘সব রাজ্য ছেড়ে কেন বাংলাকে বেছে নিলাম’, মমতার সামনে সত্যটা তুলে ধরলেন ITC-র চেয়ারম্যান

BGBS 2025: কলকাতাকে সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে উল্লেখ করে সঞ্জীব পুরী বলেন, "রাজ্যে এখন শিল্পবান্ধব পরিবেশ রয়েছে। শিল্পবান্ধব নীতিও নিয়েছে সরকার। আমাদের সংস্থার হেড কোয়ার্টার কলকাতায়।"

BGBS 2025: 'সব রাজ্য ছেড়ে কেন বাংলাকে বেছে নিলাম', মমতার সামনে সত্যটা তুলে ধরলেন ITC-র চেয়ারম্যান
ITC-র চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2025 | 6:13 PM

কলকাতা: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন আইটিসি-র চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী। তাঁর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে বাংলার ছবি বদলে গিয়েছে। নিজের বক্তব্যে কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ২ দিনের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। প্রথম দিন শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, সজ্জন জিন্দলরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যেমন বাংলায় আইটিসি-র বিনিয়োগের কথা তুলে ধরেন সঞ্জীব পুরী, তেমনই বাংলার উন্নয়নে রাজ্য সরকার কী করেছে, তাও বলেন।

কলকাতাকে সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে উল্লেখ করে সঞ্জীব পুরী বলেন, “রাজ্যে এখন শিল্পবান্ধব পরিবেশ রয়েছে। শিল্পবান্ধব নীতিও নিয়েছে সরকার। আমাদের সংস্থার হেড কোয়ার্টার কলকাতায়।”

এই খবরটিও পড়ুন

রাজ্যে আরও কাজ করতে তাঁরা মুখিয়ে রয়েছেন বলে জানান সঞ্জীব পুরী। তিনি বলেন, “সর্বভারতীয় সংস্থা হওয়ায় দেশের যেকোনও প্রান্তেই বিনিয়োগ করতে পারি আমরা। কিন্তু, আমাদের সংস্থা সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে বাংলায়।” বাংলায় তাঁদের বিনিয়োগের কথা তুলে ধরে আইটিসির চেয়ারম্যান বলেন, “এই রাজ্যে আমাদের ১৮টি ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি রয়েছে। একাধিক হোটেল রয়েছে। সম্প্রতি বাংলায় ৭৫০০ কোটি বিনিয়োগ করেছে আইটিসি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের হাব হতে চলেছে বাংলা।”

তিনি আরও বলেন, “হসপিটালিটি সেক্টরে বড় সুযোগ রয়েছে বাংলায়। আমরা এখন ৬টি হোটেল চালাচ্ছি। আগামী দিনে সেটা দ্বিগুণ হতে চলেছে। কৃষিতেও আমরা বিনিয়োগ করেছে। কৃষিতে এখন ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে।”

রাজ্যের প্রশংসা করে আইটিসির চেয়ারম্যান বলেন, “সামাজিক উন্নয়নেও জোর দিয়েছে রাজ্য। যা সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কন্যাসন্তানদের জন্য রয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। আর সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যবিমার জন্য রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। এরকম আরও অনেক রয়েছে।” বাংলার এই ‘পরিবর্তনের’ জন্য নিজের বক্তব্যের শেষে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এদিকে, এদিন আরপিএসজি গ্রুপের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেন, “আজকে একটা ভিন্ন বাংলায় আমরা বসবাস করছি। যে বাংলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। যে বাংলায় কোনও সমস্যায় দ্রুত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন। শেষ কয়েক বছরে কুড়ি হাজার কোটির মতো বিনিয়োগ করেছি। আরও দশ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ পাইপলাইনে রয়েছে। আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। মুকেশ অম্বানী আমার রোল মডেল।”