কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী কী নিজের কুর্সি বাঁচাতে পারবেন? নাকি শুভেন্দু অধিকারীর পর দ্বিতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর জীবনের সবথেকে বড় ধাক্কা দেবেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। আগামিকাল এই সময়ের মধ্যে সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খোলসা হয়ে যাবে। কারণ, রবিবার ঘড়ির কাঁটা সকাল ৮ টা ছুঁলেই ভবানীপুর বিধানসভায় ব্যালট গোনা শুরু হয়ে যাবে (Bhabanipur Bypoll Result)। এরপর এক এক রাউন্ড করে চলবে ইভিএম গণনা। তবে শুধু ভবানীপুর নয়। ভোটগণনা হবে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ, আরও দুই কেন্দ্রে। ভোটগণনার আগেই টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতি বিরাজমান এই তিন কেন্দ্রের সমস্ত রাজনৈতিক শিবিরে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, ও বাকি দুই কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভবানীপুরে ভোটদানের হার ছিল চোখে পড়ার মতো কম। সেই তুলনা সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে উল্লখযোগ্য হারে ভোটিং হয়। তবে সামগ্রিকভাবে ভোটদানের হার দেখে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, এই নির্বাচন ঘিরে সাধারণ মানুষের উত্তেজনা তেমন ছিল না। তাই অনেকেই ভোট দিতে আসেননি। নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ৫৭.০৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৭৯.৯২ এবং ৭৭.৬৩ শতাংশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হচ্ছে না, এবং মানুষ বিধানসভা নির্বাচনেো তৃণমূলের ফলাফল ইতিমধ্যেই জানেন, তাই বেশিরভাগ ভোট ঘাসফুলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মাত্র ৩ টি কেন্দ্রে ভোটগণনা হতেও খুব বেশি সময় লাগবে না। যদি কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা, বা অন্য কোনও ধরনের অসুবিধা না হয়, তবে দুপুর ১২টার মধ্যেই তিন কেন্দ্রের ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এবং দুপুর ২ টোর মধ্যে ৩ আসনেই ফলাফল ঘোষণা হতে যেতে পারে।
তবে পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা বিকেলের আগে হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, গণনা শেষ হওয়ার পর একেবারে শেষের দিকে ৫ শতাংশ ভিভিপ্যাটের ভোট গণনা হবে এবং তা মিলিয়ে দেখা হবে। ভোটগণনার আগের দিন থেকেই নিরাপত্তার বন্দোবস্তও সর্বোচ্চ করার প্রক্রিয়া কমিশন চালাচ্ছে। ব্যালট বাক্স খোলার কয়েক ঘণ্টা আগে তৃণমূল ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও বিজেপি কিছুটা অতি-সতর্ক ভূমিকা নিতে পারে।
আরও পড়ুন: West Bengal Civic Polls: পুজো মিটলেই পুরভোট বঙ্গে! ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মমতার
বিজেপি সূত্রে খবর, ভোট গণনার কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনও কর্মীকে গণনাকেন্দ্র ছেড়ে না আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই ভুলটা করেছিল বিজেপি। বহু আসনে দল পিছিয়ে পড়ছে দেখে গণনা কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে চলে এসেছিলেন কর্মীরা। সেই একই ভুল এ বার কোনও মতেই করা যাবে না। স্পষ্ট নির্দেশ গেরুয়া শিবিরের।
আরও পড়ুন: Nusrat Jahan: ‘ছেলের কমপ্লেন থাকবে, মানুষেরও তো থাকতে পারে’, ৬ মাস পর বসিরহাটে পা রাখলেন সাংসদ