কলকাতা: তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুনে শনিবার রাতেই গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার গ্রেফতারি নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। সোশ্যাল সাইটে বিজেপি নেতার দাবি, এই গ্রেফতারি প্রমাণ করল প্রাক্তন ওসি ক্রাইম সিনে তথ্য-প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করেছেন। তাঁকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছিল পুলিশই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ছবি পোস্ট করে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও নিশানা করলেন অমিত। ছাড়লেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তা নিয়েই এবার নতুন চর্চা রাজনৈতিক মহলে।
পোস্টে অমিত মালব্য লিখছেন, “অভিজিৎ মণ্ডল সেই একই ব্যক্তি যাঁকে বাঁচাতে খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়িয়েছিলেন। গ্রেফতারি এড়াতে উনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, কলকাতা পুলিশ দ্বারা রচিত এই চিত্রনাট্য়ে পা দিতে রাজি ছিল না হাসপাতালগুলি। কিন্তু, তারপরই হাসপাতালের এক প্রমোটারকে ফোন করে মমতা ধমকও দিয়েছিলেন।” এখানেই না থেমে তিনি আরও লিখছেন, “প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে নৃশংস অপরাধটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ফল, যা বাংলার জনস্বাস্থ্যকে ধ্বংস করেছে। কলকাতা পুলিশের কমিশনারও মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করতে এবং অপরাধ ধামাচাপা দিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।”
প্রসঙ্গত, ৯ অগস্ট ঘটনার পর থেকেই লাগাতার প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। এফআইআর দায়ের থেকে ময়নাতদন্ত, প্রশ্নের মুখে পড়েছে সব কিছুই। প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা থেকে টালা থানার ভূমিকাও। যদিও খুন-ধর্ষণ কাণ্ডে শুরুতেই এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তারপর তদন্তে নেমে দুর্নীতি মামলায় সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এবার গ্রেফতার খুন-ধর্ষণ কাণ্ডেও।
The CBI has arrested Abhijit Mondal, officer-in-charge of Tala police station and Sandip Ghosh, former principal of RG Kar Medical College & Hospital, for tampering evidence in the rape and murder of young lady doctor.
Abhijit Mondal is the same person Bengal Chief Minister… https://t.co/LcwBi8177W pic.twitter.com/POXdlj5Gvw
— Amit Malviya (@amitmalviya) September 14, 2024