কলকাতা: কালীপুজোর আগে এবার বোমাতঙ্ক শহর কলকাতায়। নিউটাউনের হাতিয়াড়া সর্দার পাড়ার এক সীসা ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে বোমাতঙ্ক। বাড়ির সামনেই পড়ে থাকতে দেখা যায় একটি টিফিন বক্স। সঙ্গে হুমকি চিঠি। চিঠিতে দাবি করা হয়, ওই টিফিন বক্সের মধ্যেই রয়েছে বিস্ফোরক। জানা গিয়েছে, টিফিন বক্সের ভিতরে আইইডি (ইম্প্রোভাইজ় এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) রাখা আছে বলে হুমকি চিঠিতে বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীর থেকে ২৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। টাকা দেওয়া না হলে বিস্ফোরণ হবে বলেও লেখা হয়েছে হুমকি চিঠিতে।
সন্তোষ কুমার গড় নামের ওই সীসা ব্যবসায়ীর কাঁকুরগাছিতে একটি গোডাউনও রয়েছে। আজ বিকেলে প্রথম ওই হুমকি চিঠির বিষয়টি জানা যায়। তখন বাড়িতে সন্তোষ বাবু ছিলেন না। আজ বিকেল চারটে নাগাদ বাড়ির পরিচারিকা প্রথম দেখতে পায় যে সিঁড়িতে একটি প্লাস্টিকের টিফিন বক্স পড়ে আছে সেলুটেপ মারা অবস্থায় এবং সেটির থেকে একটি তার বেরিয়ে আছে। সঙ্গে একটি কাগজও পড়ে থাকতে দেখা যায়। সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের মনে। কাগজটি খুলতেই মাথার উপর পাহাড় ভেঙে পড়ে। এ যে হুমকি চিঠি! আর চিঠিতে যা বলা রয়েছে, তা পড়লে ভয়ে সিঁটিয়ে যাওয়ার অবস্থা।
লেখা রয়েছে, ওই প্লাস্টিকের টিফিন বক্সের ভিতরে আইইডি বিস্ফোরক রাখা আছে। সন্তোষ বাবুর থেকে ২৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে। সন্ধ্যা হওয়ার আগে পার্শ্ববর্তী অটো স্ট্যান্ডের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় ওই টাকা রেখে আসতে হবে। টাকা দেওয়া না হলেই বিস্ফোরণ হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ওই ২৫ লাখ টাকা অটো স্ট্যান্ডের কাছে নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে ফেরার সময় পিছন দিকে যেন না তাকানো হয়। স্মরণ করিয়ে দেওয়া রয়েছে, বোমার রিমোট তার হাতেই রয়েছে, পিছনে ফিরে তাকালেই বোমা ফাটিয়ে দেওয়া হবে। বিষয়টি জানার পরই রীতিমতো আতঙ্ক গ্রাস করে ওই ব্যবসায়ী পরিবারের মনে। খবর দেওয়া হয় ইকো পার্ক থানায়। পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরা আসেন বাড়িতে। প্লাস্টিকের টিফিন বক্সটি উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা। তবে ওই টিফিন বক্সের ভিতরে আদৌ আইইডি বা অন্য কোনও ধরনের বিস্ফোরক ছিল কি না তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি। এই ঘটনায় আতঙ্কিত ওই পরিবার।
এদিকে এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, ওই চিঠিতে যে হাতের লেখা ছিল, তা একেবারেই ছোটদের বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। অর্থাৎ, পরিকল্পনা করেই গোটা ঘটনা সাজানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তোলাবাজি সংক্রান্ত ইস্যু থেকেই এই হুমকি চিঠি। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।