Calcutta High Court: ‘এরা কীসের শিল্পপতি? কী অবদান আছে এদের?’, জোর সওয়াল রাজ্যের
Calcutta High Court: সাইবার প্রতারণার মামলায় গত ২২ ডিসেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে জেলা আদালত। আগাম জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যায় রুইয়া পরিবারের তিন সদস্য। প্রায় ৩১৫ কোটি টাকার সাইবার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে রুইয়াদের বিরুদ্ধে। ১৩৭৯টি অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশের কাছে। একাধিক মামলাও বিচারাধীন রয়েছে।

কলকাতা: সাইবার প্রতারণার মামলায় রুইয়াদের আগাম জামিন মঞ্জুর করল আদালত। প্রায় ৩১৫ কোটি টাকার সাইবার ক্রিপ্টো প্রতারণা মামলায় আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি উদয় কুমার। পবন রুইয়া, তাঁর পুত্র রাঘব রুইয়া এবং কন্যা পল্লবী রুইয়ার আগাম জামিন মঞ্জুর করল আদালত। জেলা আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রুইয়াদের বিরুদ্ধে এদিন আদালতে বিস্ফোরক সওয়াল করে রাজ্য। বলে, ‘কীসের ব্যবসায়ী? এরা প্রতারক।’ আরও বলে, “তদন্তে সহযোগিতা করতে চান এঁরা? কীভাবে করবেন? সবাই পলাতক নেপালে পালিয়ে গিয়েছেন।” এরা কীসের শিল্পপতি? কী অবদান আছে এদের? প্রশ্ন তোলে রাজ্য। ডানলপ-জেসপ রাজ্যের কাছ থেকে নিয়ে যন্ত্রপাতি সব বিক্রি করে দিচ্ছিল। রাজ্যকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে বলেও দাবি রাজ্যের।
সবাইকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানায় রাজ্য। রাজ্যের দাবি, রোজ নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কোথায় গিয়ে শেষ হবে জানা নেই। ৭০০-৮০০ কোটি টাকায় গিয়ে দুর্নীতির অঙ্ক দাঁড়াতে পারে বলেও দাবি রাজ্যের। পবন রুইয়া, তাঁর পুত্র রাঘব রুইয়া এবং কন্যা পল্লবী রুইয়া সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অর্থ আদান-প্রদান হয়েছে, সবাই ক্রিপ্টোকারেন্সির অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ।
সাইবার প্রতারণার মামলায় গত ২২ ডিসেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে জেলা আদালত। আগাম জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যায় রুইয়া পরিবারের তিন সদস্য। প্রায় ৩১৫ কোটি টাকার সাইবার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে রুইয়াদের বিরুদ্ধে। ১৩৭৯টি অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশের কাছে। একাধিক মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। যার মধ্যে এফআইআর খারিজের মামলাও রয়েছে।
রুইয়ারা বলেন, “আমার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনপুরুষের বাস রাজ্যে। আমাদের সব ব্যবসা আইনসিদ্ধ। রাজ্যের ব্যবসায় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আদালত যে অঙ্ক নির্ধারণ করবে সেই অঙ্কের বিনিময়ে আমাদের আগাম জামিন মঞ্জুর করা হোক।”
